প্রথমে বন্দনা করি শুদ্ধ অন্ধকার
একা দেখা রূপ যার সহস্র প্রকার!
তুমি বর্ণময়ী, তুমি আকাশ পত্রিকা
প্রত্যেক পৃষ্ঠায় শিল্প, মূর্তিমতী শিখা
তোমাকে প্রথম দেখি চক্ষুহীন চোখে
যখন ত্রিশঙ্কু আমি এলোকে ওলোকে।
গর্ভগৃহে তুমি ঢেউ, দোলালে আমাকে
সুমেরু শিখর থেকে ঘোর কুম্ভীপাকে
কালপুরুষের সখী, বাঙ্ময় স্তব্ধতা
তুমিই আমার কণ্ঠে দিয়েছিলে কথা
মৃত্যুর সপত্নী নও, সত্যের জননী
চিন্তাদ্বার খুলে দিলে, তুমি চিন্তামণি
একা-দেখা রূপ যার সহস্র প্রকার
জয় অন্ধকার, বলো, জয় অন্ধকার!
আমরা আঁধার বেচে খাই, আমরা আঁধার কিনে খাই
এর এস্টক অফুরন্ত ভাবনা কিছু নাই
তোমার কতকখানি চাই?
লে লে বাবু ছ-আনা
যে-কোনো টুকরো ছ-আনা
চৌকো গোল তিন কোণা
চিনি মেশানো অন্ধকার, রাঙতায় মোড়া অন্ধকার
আয় রঙ্গ হাটে যাই
একটু আঁধার চেটে খাই
এক পয়সার লটারি যেমন-তেমন নিতে পারি
সবাই মিলে দিচ্ছে ছুট
অন্ধকারের হরির লুট
ভাঙা-সাঁকো নদীর ধার
জলের দরে অন্ধকার
তোমার অন্য কিছু চাই? তুমি চোখটি বোঁজো ভাই
আমরা আঁধার বেচে খাই, আমরা আঁধার কিনে খাই!
আঁধারের সহোদরা, কতকাল দেখিনি তোমায়!