পা দুলিয়ে পেত্নী বলে
গণ্ডা কতক মাছের পেটি
দে -না
তার বদলে পাকা তেঁতুল
আমার কাছে এসে তোরা
নে- না।
……প্রদত্ত
দুপুর বেলায় তেঁতুল গাছে
ভূত ও পেত্নীর পাচ্ছিল যে
কান্না;
আগুন জ্বেলে ওরা কি আর
করতে পারে নানা পদের
রান্না!
সারা দিবস এসব নিয়ে
দুজনের মন খারাপ খুবই
লাগে;
গাছের তলায় মানুষজনের
কচকচানি শুনে টনক
জাগে।
পেত্নী মাথায় বুদ্ধি খাটায়
সঠিক উপায় এবার কি যে
হবে;
মর্তবাসী বেজায় পাঁজি
টিকতে কি আর ওদের দেবে
ভবে!
গাছের তলায় তাসের আসর
নানা খাবার আলোচনা
চলে;
বুড়োগুলোর বুদ্ধিভ্রষ্ট
ভূত ও পেত্নীর জিহ্বা ভরে
জলে।
চিৎকার করি ক্রমাগত
সাহেব বিবি গোলাম বলে
ডাকি;
একটি কথা শুনিস না- তো
আমি হলাম জেলে বাগদির
কাকি।
কাকু কাকি ভূত হয়েছে
মাছের জন্য কাঁদি ওরে
বুড়ো;
তোরা আমায় এনে দিবি
রুই ও কাতলা মাছের টাটকা
মুড়ো।