Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » একটি মৃত্যুবার্ষিকী || Nitish Burman

একটি মৃত্যুবার্ষিকী || Nitish Burman

অনেকদিন আসিনি এ ঘরে,
যে ঘরে বসে মা জানালা খুলে
দীর্ঘ গোধূলির ম্লান আলোর ছটাকে
বড়ো আপন করে নিতেন।
অনেকদিন আসিনি এ ঘরে,
যে ঘরে বসে মা উদাত্ত কণ্ঠে
মহাভারতের পাঠে মোহিত করতেন
এক ছোট্ট কিশোরকে ।
অনেকদিন আসিনি এ ঘরে ,
যে ঘরে দিবস রজনী অনেক
অশ্রুসিক্ত ক্লান্তির ঘাম
শুকিয়েছে অবহেলায়, অনাদরে ;
অনেকদিন আসিনি এ ঘরে
যে ঘরে অনেক স্বপ্নের বুনন হয়েছিল নিভৃতে।
জীবনের প্রথম পাঠ যে ঘরের
তক্তপোশে বসে উচ্চারিত হয়েছিল
এক নির্বোধ শিশুর ছায়াচ্ছন্ন বেদনার কণ্ঠস্বরে।
অনেকদিন আসিনি এ ঘরে,
যে ঘরের বিকেলের ছায়া
মেলাত চাঁপা গাছের ‘পরে
অদূরে কৃষ্ণচূড়ার ডালে নীলকণ্ঠ পাখির
বিচরণ,কৃষ্ণচূড়ার লাল আভা
মিশে যেত দিগন্তের ওপারে।
অনেকদিন আসিনি এ ঘরে ,
যে ঘরের পবিত্রতা ছুঁয়ে আছে সমস্ত হৃদয় ,
আমার ফেরারি মন আজও খুঁজে ফেরে
সহজ সরল জীবনের অনুচ্চারিত কাব্যগাথা ,
অনুচ্চারিত মিথ ।
ঝড় বৃষ্টি রোদে যে স্বপ্নিল আঁখি
খুঁজে বেড়াত মায়ের শুকনো আঁচল
অসীম শূন্যতার মাঝে আজ
থেমে গেছে সব চলাচল ।
অনেকদিন আসিনি এ ঘরে ,
যে ঘরের বিছানায় শুয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর
প্রহর গুণতে গুণতে মা বিলীন হয়েছিলেন
এক পবিত্র চিতার অনলে।
অনেকদিন আসিনি এ ঘরে,
যে ঘরের কায়িক জীবন যেখানে মূল্যহীন
নিশ্চিত মৃত্যুর অনলে পিপীলিকার যে ঝাঁপ
সেই অজেয় শান্তির নীড়ের ঠিকানায়
নীরবে বিলীন হয়েছিল নশ্বর জীবন ।
তারপর অনন্ত ঘুম
পবিত্র চিতার অনলে
হাওয়ায় ভেসে আসা মেঘের ওপারে
বড়ো শান্তির নিদ্রা,
অনেকদিন আসিনি এঘরে,
যদি শান্তির নিদ্রায় কোন ব্যাঘাত ঘটে
অনেকদিন আসিনি এ ঘরে
যদি এ ঘরের পবিত্রতা কলুষিত হয়
আমার বেদনা ভরা অশ্রুর জলে।

1 thought on “একটি মৃত্যুবার্ষিকী || Nitish Burman”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *