তপস্বিনী হে ধরণী, ওই-যে তাপের বেলা আসে–
তপের আসনখানি প্রসারিল মৌন নীলাকাশে॥
অন্তরে প্রাণের লীলা হোক তব অন্তঃশীলা,
যৌবনের পরিসর শীর্ণ হোক হোমাগ্নিনিশ্বাসে॥
যে তব বিচিত্র তান উচ্ছ্বসি উঠিত বহু গীতে
এক হয়ে মিশে যাক মৌনমন্ত্রে ধ্যানের শান্তিতে।
সংযমে বাঁধুক লতা কুসুমিত চঞ্চলতা,
সাজুক লাবণ্যলক্ষ্ণী দৈন্যের ধূসর ধুলিবাসে॥