তোমাকে দিইনি আংটি, বাগদত্তা ছিলে না আমার
কোনোকালে, গোধূলিতে তুমি লাজরক্তিম যেদিন
বসবে উৎসব হয়ে বিবাহমন্ডপে, সঙ্গীহীন
থাকবো বিনিদ্র ঘরে চুপচাপ, যেমন খামার
পুড়ে গেলে নিঃস্ব চাষী বসে থাকে হা-হা শূন্যতায়।
ছিলো না আমার অধিকার কোনোদিন পুষ্পাকুল
উদ্যানে তোমার, শুধু স্বপ্নের ভিতরে কিছু ফুল
তুলেছি বাগান থেকে মাতাল আঙুলে, বলা যায়।
যখন রঙিন পথে হেঁটে যাবে তুমি যৌবনের
সৌরভ ছড়িয়ে, পদস্পর্শে হবে চূর্ণ ছন্নছাড়া
কবির নিটোল স্বপ্ন; ছিন্ন ভিন্ন রক্তাক্ত লেবাস
পড়বে তোমার চোখে। দাঁতে-ছেঁড়ে সে-বেশ বরের
নয়; ছিলো যার, তাকে পশুপাল করে তাড়া
রাত্রিদিন, সঙ্গী তার কংকাল-কর্কশ সর্বনাশ।