বেঁচে থেকে কোনো লাভ নেই,- -আমি বলিনাতো।
কারো লাভ আছে;– সকলেরই;– হয়তো বা ঢের।
ভাদ্রের জ্বলন্ত রৌদ্রে তবু আমি দূরতর সমুদ্রের জলে
পেয়েছি ধবল শব্দ– বাতাসতাড়িত পাখিদের।
মোমের প্রদীপ বড়ো ধীরে জ্ব’লে– ধীরে জ্বলে আমার টেবিলে;
মনীষার বইগুলো আরো স্থির,– শান্ত,– আরাধনাশীল;
তবু তুমি রাস্তার বার হ’লে,- ঘরেরও কিনারে ব’সে টের পাবে নাকি
দিকে-দিকে নাচিতেছে কী ভীষণ উন্মত্ত সলিল।
তারি পাশে তোমারে রুধির কোনো বই- কোনো প্রদীপের মতো আর নয়,
হয়তো শঙ্খের মতো সমুদ্রের পিতা হ’য়ে সৈকতের পরে
সেও সুর আপনার প্রতিভায়- নিসর্গের মতোঃ
রূপ–প্রিয়– প্রিয়তম চেতনার মতো তারপরে
তাই আমি ভীষণ ভিড়ের ক্ষোভে বিস্তীর্ণ হাওয়ার স্বাদ পাই;
না হলে মনের বনে হরিণীকে জড়ায় ময়ালঃ
দণ্ডী সত্যাগ্রহে আমি সে-রকম জীবনের করুণ আভাস
অনুভব করি; কোনো গ্লাসিয়ার- হিম স্তব্ধ কর্মোরেন্ট পাল–
বুঝিবে আমার কথা; জীবনের বিদ্যুৎ-কম্পাস অবসানে
তুষার-ধূসর ঘুম খাবে তারা মেরুসমুদ্রের মতো অনন্ত ব্যাদানে।