স্বাতী আর শাশ্বতী ছিল, ওদের মধ্যে কী করে যেন চলে এলো পদ্মাবতী, স্বর্গ থেকে উড়ে
এল, কোনও হাওয়া তাকে এনে দিল, স্বপ্ন তাকে এনে দিল নাকি এ পাশের বাড়ির বউ
কেউ কিচ্ছু জানে না।
ফিনফিনে শাড়িটি আর ছোটখাটো যা ছিল গাএ, খুলে ফেলে সামনে এসে দাঁড়ালো
পদ্মাবতী রূপবতী । স্বাতীর দুটো হাত আপনাতেই উঠে এলো পদ্মাবতীর বুকে ফুটে থাকা
পদ্মে। শাশ্বতীর গায়ে স্নানের পর ফোঁটা ফোঁটা জল তখনও, চুলের শেষ বিন্দু থেকে ঝরছে
বিন্দু বিন্দু জল মসৃণ পিঠে, জল নয়, যেন নক্ষত্র। পদ্মাবতী ওই নক্ষত্রগুলো আঙ্গুলে করে
তুলে এনে এনে নিজের ঠোঁটে রাখছে। শাশ্বতী উঠে এলো লতার মত পদ্মাবতীর বাঁ হাতে,
ঠোঁটের জল শুষে নিতে। ওদিকে স্বাতীর জিভের জল ভিজিয়ে দিচ্ছে পদ্মাবতীর পদ্মবৃন্ত।
স্বাতীর ঠোঁটের সামনে এখন জগত, জগতের জ্যোতির্ময় জাদু।
পদ্মাবতী ধীরে ধীরে নিজেকে মেঘের মত শুইয়ে দিল আকাশে। আর তুলো তুলো এক
শরীর মেঘের ভেতর শাশ্বতী হারিয়ে যাচ্ছে, স্বাতী পথ খুঁজে পাচ্ছে না। জলতৃষ্ণায় কাতর
দুজন। পদ্মাবতীই দিল তাদের তৃষ্ণা মেটাতে। জন্মের তৃষ্ণা ছিল, মেঘে মুখ ডুবিয়ে জল পান
করছে দুজনই। আহ, আকাশের গায়ে যেন একটি পুরো সমুদ্র এলিয়ে পড়েছে।
পদ্মাবতীর ভেজা ঠোঁটে উঠে এসেছে শাশ্বতীর ঠোঁটজোড়া। স্বাতীর ঠোঁটেও ঠোঁট।
বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে পদ্মাবতীর গায়ে, সেই বিদ্যুৎ ঝলসে দিচ্ছে স্বাতীকে, শাশ্বতীকে।
জোড়া জোড়া ঠোঁট মিলে যাচ্ছে মিশে যাচ্ছে বিদ্যুতে।
প্রেম হচ্ছে ঠোঁটে ঠোঁটে।
প্রেম হচ্ছে আকাশপারে।
নারী থেকে নারী জন্ম নিচ্ছে।