তোমার তরে সবাই মোরে
করছে দোষী
হে প্রেয়সী !
বলছে—কবি তোমার ছবি
আঁকছে গানে ,
প্রণয়গীতি গাচ্ছে নিতি
তোমার কানে ,
নেশায় মেতে ছন্দে গেঁথে
তুচ্ছ কথা
ঢাকছে শেষে বাংলাদেশে
উচ্চ কথা ।
তোমার তরে সবাই মোরে
করছে দোষী
হে প্রেয়সী !
সে কলঙ্ক নিন্দাপঙ্ক
তিলক টানি
এলেম রানী !
ফেলুক মুছি হাস্যশুচি
তোমার লোচন
বিশ্বসুদ্ধ যতেক ক্রুদ্ধ
সমালোচন ।
অনুরক্ত তব ভক্ত
নিন্দিতেরে
করো রক্ষে শীতল বক্ষে
বাহুর ঘেরে ।
তাই কলঙ্কে নিন্দাপঙ্কে
তিলক টানি
এলেম রানী ।
আমি নাবব মহাকাব্য—
সংরচনে
ছিল মনে—
ঠেকল যখন তোমার কাঁকন—
কিংকিণীতে ,
কল্পনাটি গেল ফাটি
হাজার গীতে ।
মহাকাব্য সেই অভাব্য
দুর্ঘটনায়
পায়ের কাছে ছড়িয়ে আছে
কণায় কণায় ।
আমি নাবব মহাকাব্য—
সংরচনে
ছিল মনে ।
হায় রে কোথা যুদ্ধকথা
হৈল গত
স্বপ্নমত !
পুরাণচিত্র বীরচরিত্র
অষ্ট সর্গ
কৈল খণ্ড তোমার চণ্ড
নয়ন – খড়্গ ।
রইল মাত্র দিবারাত্র
প্রেমের প্রলাপ ,
দিলেম ফেলে ভাবীকেলে
কীর্তিকলাপ ।
হায় রে কোথা যুদ্ধকথা
হৈল গত
স্বপ্নমত !
সেসব – ক্ষতি – পূরণ প্রতি
দৃষ্টি রাখি
হরিণ – আঁখি !
লোকের মনে সিংহাসনে
নাইকো দাবি—
তোমার মনোগৃহের কোনো
দাও তো চাবি ।
মরার পরে চাই নে ওরে
অমর হতে ,
অমর হব আঁখির তব
সুধার স্রোতে ।
খ্যাতির ক্ষতি – পূরণ প্রতি
দৃষ্টি রাখি
হরিণ – আঁখি !