ক্রমে ম্লান হয়ে আসে নয়নের জ্যোতি
নয়নতারায়; বিপুলা এ বসুমতী
ধীরে মিলাইয়া আসে ছায়ার মতন
লয়ে তার সিন্ধু শৈল কান্তার কানন।
বিচিত্র এ বিশ্বগান ক্ষীণ হয়ে বাজে
ইন্দ্রিয়বীণার সূক্ষ্ম শততন্ত্রী-মাঝে;
বর্ণে বর্ণে সুরঞ্জিত বিশ্বচিত্রখানি
ধীরে ধীরে মৃদু হস্তে লও তুমি টানি
সর্বাঙ্গ হৃদয় হতে; দীপ্ত দীপাবলী
ইন্দ্রিয়ের দ্বারে দ্বারে ছিল যা উচ্ছলি
দাও নিবাইয়া; তার পরে অর্ধরাতে
যে নির্মল মৃত্যুশয্যা পাতো নিজহাতে–
সে বিশ্বভুবনহীন নিঃশব্দ আসনে
একা তুমি বোসো আসি পরম নির্জনে।