আলমারির পেছন থেকে বেরিয়ে এসে, সারাদিন, আমি আজ বসে থাকতে চাই
তোমার কাছে—চব্বিশ বছর, দ্যাখো
সরু জলের মতো
উঠোনের একদিক থেকে অন্যদিকে আমি গড়িয়ে গেছি—গলার স্বর
চুরি হয়ে গ্যাছে আমার, আমার বন্ধুরা
আমাকে ফেলে রেখে পালিয়েছে—তোমাদের বাগানবাড়ি থেকে
কতো দূর, আমি চলে এসেছি আজ—কতো অল্পতেই মানুষ
সুখী হতে পারে আজ মনে হয়—কতো অল্পতেই মানুষ বুড়িয়ে যায় এক রাত্তিরে—
অসংখ্য ছেঁড়া চটিজুতোর পাশে বসে বসে, প্রত্যেক দুপুরে, অদ্ভুত খেলা আমার—
আমি হাঁ করি, মুখ দিয়ে ধুলো বেরোয় আমার
আমি চোখ বুজি, চোখ খুলে যায় আমার ভেতর থেকে—
একলা থাকতে থাকতে, থাকতে থাকতে
আমার গায়ে সবুজ শ্যাওলা গজিয়ে উঠবে একদিন
পোড়ো বাড়ির মতো আমি অদ্ভুত দাঁড়িয়ে থাকবো একদিন গম্ভীর জঙ্গলের মধ্যে —
ভালোবাসবার আগেই কতো মানুষের ভালোবাসা ফুরিয়ে যায় হঠাৎ—সশব্দে
ঘুমোতে ঘুমোতে, কতো মানুষ
চশমা পরেই হঠাৎ চলে যায় কবরে
ঘরের জানলা, চব্বিশ বছর, পাপের মতো খোলা ছিলো আমার
চব্বিশ বছর ধরে নুনের মতো, আমার লোভ, নথের ভেতরে ঢুকেছিলো
জুতোর ফিতের মতো, ভাঁজ হয়ে
আমি আর শুয়ে থাকতে চাই না বিছানায়
অলস ছায়ায় মতো, আমি আর চাই না বিছানায় মিলিয়ে থাকতে
ঘুম থেকে উঠে—কতোদিন—আবার ঘুমিয়ে পড়েছি আমি
আমার সমস্ত শরীর, কর্পূরের মতো, হঠাৎ মিলিয়ে যাওয়ার আগে
আলমারির পেছন থেকে বেরিয়ে এসে, আমি আজ সারাদিন দেখতে চাই তোমাকে