শেষ রাত্তিরের ঝড়ে আমার হলদে চাদর উড়ে গিয়েছিলো, তোমাদের
বাগানবাড়ির দিকে—সারাদিন
ফুঁ দিয়ে বালি উড়িয়েছি—পাঁচ আঙুলে
করুণ আগুন জ্বলেছে সারা সন্ধেবেলা—এখন রাত দশটায়
সাদা জামা-প্যান্ট পরে তোমাদের বাগানবাড়ির দিকে যেতে যেতে
আমি এক অসম্ভব ফাঁকা মাঠে এসে দাঁড়িয়ে পড়েছি
মনে হচ্ছে, এই মাঠে বিশাল বাড়ি ছিলো কোনোদিন, আজ আর নেই—হিম
অন্ধকার ছুঁয়ে, মাঠখানা
পড়ে আছে—যেন পৃথিবীর শেষ ফুল
এখনই ফুটে উঠবে, শব্দহীন, কাল রাতে স্বপ্নে ভৌতিক জ্যোৎস্নায়
তোমারই মৃতদেহ আমি, এই মাঠে
পচে ফুলে ঘাড় বেঁকিয়ে পড়ে থাকতে দেখেছিলাম
শোক এলেই মা-র কথা মনে পড়ে
শীতের শেষে সেবার হৈ হৈ করে সার্কাসের তাঁবু পড়েছিলো
তিন বোতল মদে ক্লাউন সেজে
আমি আরও তিন বোতল মদ…মুর্খেরা সকলেই
খুব হাততালি দিয়েছিলো সেবার—তুমি
ঘর চেয়েছিলে
হাতির পিঠে চড়ে আমরা বনভোজনে গিয়েছিলাম সেবার—তোমার মা
তোমাকে নীল শাড়ি পরিয়ে দিয়েছিলো—তোমার রক্তে
বেজে উঠেছিলো মন্দিরের ঘণ্টা, ঈশ্বর
আমি বোঝাতে পারিনি
মন্দিরে থুতু ছিটিয়ে দিলেও মানুষের কিছুমাত্র ক্ষতি হয় না
যা কিছু বলার ছিলো—এই ডিসেম্বরের রাতে
এক অন্ধকার ফাঁকা মাঠে দাঁড়িয়ে আমি গান গাইছি
তুমি শীতের রাতের মতো শব্দহীন—আমার ভালোবাসা
তোমাদের বাগানবাড়ি জানে