যোগ্য হবার যজ্ঞে যোগ দেবার আগে
বসন্ত বৈষ্ণবীর বানানো আনন্দ -নাড়ু খাবো ,
কেঁদুলী মেলায় না গুনে ফুঁ দিয়ে দিয়ে
বাউল -রঙা বেলুন ফোলাবো ,
ভোরের ফুটপাতে দু’টো বেঞ্চ জুড়ে আকর্ণ শোবো ,
কোনও কারণ ছাড়াই , মিছিমিছি ।
তারপর না হয় স্বেচ্ছাফাঁদে হাত গলিয়ে
সুখ শব্দের আগে অ বর্ণ বসিয়েই যাবো ।
যেতে হবেই বোধহয়
কিংবা ইতিমধ্যেই ব্যূহের বধ্যভূমির পথে
দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পড়িনি কী !
আমার নিঃশ্বাসের টক গন্ধ পেয়ে
আমারই আবাল্য ছায়ারা ক্রমশ
সরে যাচ্ছে কৈশোর সমুদ্রের দিকে ।
আর আমি যৌবনের বৃন্দাবনে উচ্ছল প্রজাপতির
দৃষ্টি ঝর্ণায় ভিজতে ভিজতে হারিয়ে যাওয়া
হ্লাদিনী প্রশ্বাসপুঞ্জে আবারও কুঞ্জ সাজাবো বলে
কুরুক্ষেত্র ছেড়ে ফুটফুটে স্মৃতি শস্যরেণু কুড়োচ্ছি ।
ফিরে আসছি সৃজন সৈকতের মুক্ত মাটিতে
যেখানে জহ্লাদী যোগ্যতার কোনও জরিপ চলে না ।