আজ আর কিছু দেখিবার নাই
তাই চক্ষু বন্ধ রাখিলাম
অনায্যরা ফুলের মত উড়িতেছে আকাশে বাতাসে সর্বত্র,
ভন্ড রাজদের তামাশার গান শুনিয়া কান ঝালাপালা করিতেছে—
তাই আজ আর কোন গান শুনবার নাই।
সরল আকাশটাও কালো মেঘের মত বারুদের ধোঁয়ায় মৃতপ্রায়
কাব্য ভরা জগতের পাতা উল্টাইয়া দেখি;
কবিতাবিতান কবিতার চিতা সাজায়
সভ্যতা ডুবিয়া গিয়াছে এই বাংলায়।
এখন অসভ্য সভ্যেরা তিরস্কারের ভয়ে
কতবার গীতবিতান ছুঁড়িয়া ফেলিয়া
তাঁহারা মত্ত রাজতন্ত্রের চাটুকারিতায়
এহেন কারণে তাঁহারা যত্রতত্র আজ পুরষ্কার বিলায়।
সম্মুখে দাঁড়ায়ে আজি এই অবক্ষয়ের মহা নিয়তি
লুটাইয়া কাঁদে সাহিত্যের সত্যতা
অসাধু চক্রের পায়ে করে সমর্পণ সাধনার আহুতি;
হে রবীন্দ্রনাথ; তোমার তরে জন্ম লওয়া সেই প্রণতি?
ইহাও কি সাহিত্য?
নাকি ইহা সাহিত্যের শ্রাদ্ধ?
আজ আর এই বিষয়ে কিছুই বলিবার নাই
তাই নিজেকে অন্ধ ভাবিয়া চক্ষু বন্ধ করিয়া পথ হাটিয়া যাই,
জগত বোঝাই উচ্চতার চাইতে বড্ড বেশি নাব্যতা
নাব্যতায় পচন ধরা গহীন তলানীতে—-
ডুবিয়া যাইতেছে বাঙালির পাশ্চাত্য; বাঙালির সভ্যতা।
সাহিত্যের পচন (Sahityer Pochon by Subrata Mitra)