বুকের ভেতরে একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ যেন ঘুমিয়ে থাকে !যখন তখন

দেখা কোন কথাই শুনতে চায়নি অনুপম। বলেছে দেখা করতেই হবে!

আহ্বান তখন ফাল্গুন মাস, বসন্তে ডালে ডালে আগুন জ্বেলে রাঙাপলাশ

যে গল্প লেখা হয়নি কেয়া বলেছিল সমীর কে-‘আমাদের দুজনকে নিয়ে

বলেছিলে-“ভুলতে চাইছো পূর্ণা?”ভোলা কী এতই সহজ!থর থর কেঁপে উঠেছিলো হৃদয়!যে

অঙ্কুর গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের পর আষাঢ়ের প্রথমেই বৃষ্টি নামলো, তারপর

জীবকুল চায় স্পন্দিত হোক আপন বংশ ধারা,পৃথিবীর বুকে রেখে যেতে

বৈশাখ তুমি দুর্বহ বড়ো তপ্ত বাতাস বয়ে,চৈত্র দিনের ঝরা পাতা

পাশের বাড়ির ছাতে প্রতিদিন ওদের দেখি,বকবকম বকবকম করতে করতে খুঁটে

রাস্তা বিয়ের চার চারটা বছর পেরিয়ে গেলেও সন্তানের মুখ দেখা

খেলা উত্তেজনায় কাঁপছে সারা শরীর! ক্রমাগত বেড়ে চলেছে চ্যালেঞ্জের পর

সমুন্নত মস্তক ছিল স্পর্ধিত উচ্চ তায়সত্যই ঈশ্বর তুমি উদার মহান,পরাধীনতার

নেই সাজ প্রসাধন আদ্যন্ত অভ্যস্ত জীবন গেছে থেমে।নেই এক মঞ্চ

মৃত্যুঞ্জয়ী বীর বিপ্লবী নেতাজী তোমার কাছে,বুকের শোণিতে ভারতবাসীর কত ঋণ

ধূসর -সমুদ্র উথলে উথলে গভীর তমসাময়,আঁধারের বুকে কুহকিনী ডাঙ্গা নির্বাক

অয়ন অয়ন মায়ের কোলের কাছটিতে শুয়ে চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে

শোধ হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে সুমন্ত দেখল ট্রেনের সিগন্যাল হয়ে গেছে

সংকট ডিটেনশন ক্যাম্পের এককোনে চুপ করে বসে আছে হারু, হারাধন

বৈধ সুখে দিব্যারতির গভীরতর স্বপ্ন দেখে,সমিধ ঢেলে সার্থকতার হোমকুণ্ড জ্বালিয়ে

আত্মপ্রেমে সাজাও নিজেকে ক্ষতি নাইযদি তা না আত্মনাশা হয়ে ওঠে

বিষধর হরিপদ যখন মারা গেল সামান্য চাষের জমি আর বসতবাটি

ভয় বড়ো রাস্তা ছাড়িয়ে গলিটায় ঢোকার মুখেই ঝপ করে আলোটা

সময়ের সাথে ছুটে চলে রথ অমোঘ কালের টানে,সভ্যতা জুড়ে সে

রাতের বাতাসে মৃদু লয়ে শ্বাস বয়,গোপনে গভীরে অচেনা স্বপ্ন ভাসে।আজ

উত্তর মেলেনি পিওন কাঞ্জিলাল খামটা নিয়ে অফিস ঘরে এলে ইশারায়

পৃথিবীর গান কভু হয়নাতো শেষ,কোথা না কোথাও তার রয়ে যায়

শব্দ ,শব্দ আর শব্দ, শব্দের ঘেরাটোপে বন্দী,নবোদ্গত কিশলয় বেড়ে ওঠে

ভুল ঘটক বলেছিল ‘মেয়েটা দেখতে শুনতে তেমন ভালো না হলেও,

মা আজ সকাল থেকেই প্রভার মনটা বড়ো খারাপ । বড়ো

আকাশের মত মুক্ত উদার নারীর হৃদয় পটে,নরম আলোয় ভরিয়ে আকাশ

এসেছে এবার খুশি নিয়ে ঈদ উৎসব জাগে প্রাণে,রোজা রেখে দিন

মাতৃভূমির পুণ্যযজ্ঞে বুকের রক্ত ঢেলে ,মরণে জীবন করেছে ধন্য ভারত

শুখনা ডাঙা লাল হইছ্যে রাঙা পলাশ ফুট্যে ,কে য্যান মোর

কোথায় গেল পালকি গুলো্!ছয় বেহারা কোথায় তারা,গাঁইতি কাঁধে যাচ্ছে কারা?কারা

আজ ওরা হয়ে গেছে বাতিলের দল,অচল হয়েছে তারা ছিল যা

বর্ষা বাদলে রান্নার স্বাদ একঘেঁয়ে লাগে রোজ,আহারে ইলিশ বাহারে ইলিশ

কতদিন দেখি নি তোমায়!ভোরের শিশিরে ভেজা জুঁই।আজ ও কী তেমনি

বিষফোঁড়া কে জানতো বিচিত্রের জন্য  আজএত বড়ো বিস্ময় অপেক্ষা করছে।যতই

ভালোবাসার আলো ঝোলা কাঁধে মানুষটাকে বাসরাস্তার দিকে চলে যেতে দেখে