শুন্যের আড়াল থেকে একটি মুখ
ঈষৎ ফেরানো, পুব দিকে
শূন্য থেকে যেমন শিশির কিংবা চাতকের ডাক
বাকি চরাচরে কেউ নেই
শুধু সে-ই দেখে, যার আঙুলে কলম
ওকে কি বিশ্বাস করা যায়?
শব্দের নির্মাণে কিছু মিথ্যে তো থেকেই যায়
যা আসলে সত্যের যমজ
শূন্য কি কিছুর জন্ম দিতে পারে? তবু যেন আসে
অলীক খড়িতে আঁকা মুখখানি, কপালে অলক
শুধু পুব দিকটাই স্থির সত্য, সমস্ত দিকেরা
সেটা জানে।
এখন দিন না রাত্রি? অথবা কুয়াশা
হঠাৎ ভাঙলে ঘুম যে-রকম সময়ের ভ্রম
দু’দিকের জানলা খোলা, আলো কিংবা অন্ধকার
দু’রকম নীল
হাতে যে কলম নিয়ে বসে আছে তার বুকে
দুঃখ ভাঙা সারাৎসার, সে যা-ই খুঁজুক
সাদা পৃষ্ঠা অক্ষর ও শব্দাবলী ছাড়া
আর কিছুই দেবে না।