শহরে আছেন একজন কবি, যাকে আমি চিনি কিছুকাল
আগে থেকে। তার কাছে মাঝে-মাঝে যাই,
পোহাই ঘনিষ্ঠতার মধুর রোদ্দুর, আর কোনও কোনও দিন
কথোপকথনে বেশ কেটে যায় কিছুটা সময়। চোখে পড়ে
স্মরণীয় নানা দৃশ্য-ফুলের গাছকে
আলিঙ্গন করেন সাদরে কবি কখনও কখনও,
বলেন রোদের, জ্যোৎস্নার সঙ্গে কথা, মেঘ তাকে
ছুঁয়ে যার বারবার। দোয়েল, ময়না
কাঁধে এসে বসে তার, সুরের ধারায়
ভেসে যান তিনি কল্পলোকে। কোনও কোনও মধ্যরাতে
অপ্সরার গান শোনা যায় তার ঘরে। পরীদের,
কাছের গাছের আর ঘাসের সবুজ ভাষা আর
অনেক দূরের নীলিমার, নক্ষত্রে গূঢ় ভাষা
ভালোই বোঝেন তিনি, অথচ পাশের
নিঝুম বাড়ির যে-তরুণী গলায় দিয়েছে দড়ি,
পারেননি করতে পাঠ কবি তার হৃদয়ের ভাষা।