কেউ কি দেখেছ কখনও তাকে?
সেই কায়াহীন যমরাজাকে
মুক্তির ডালিতে সাজায় যে
মৃত্যুর পরমাত্মাকে।
সময়েই হাজির হয় সেই দূত
অদৃশ্য বেশেই আসে কিমাকার কিম্ভূত
সযত্নে লিখিত পত্র হাতে নিয়ে
চিত্রগুপ্তের খাতায় নাম ওঠাবে গিয়ে।
জীর্ণ শীর্ণকায় রোগশয্যায় মৌন মূক
কাঁপে থরথর ধিকি ধিকি করে বুক
হাতে যে আর নেই বেশী সময়
আগুপিছু বারেক তবু ফিরে চায়।
কর্ম এখনও কিছু রয়েছে বুঝি বাকি
তাই ধীর স্থির হয় না অশ্রুসজল আঁখি
স্পন্দিত হৃদ গতিতে চলমান শ্বাসবায়ু
মৃত্যু-নৈবেদ্য সাজিয়ে দাঁড়িয়ে পরমায়ু।