বহু আগে ডিস্কোতে গিয়ে এক অগ্নিগিরি স্বর্ণকেশিনীর
সোনা আর ঠোঁটের লাভায় দূর থেকে পুড়ি ধিকিধিকি;
সঙ্গিনী তার ভগ্ন নিগ্রো স্থূল ঠোঁট মেয়ে: আমার শরীর
ছুঁতে চায় রক্ত-সোনা, জ্বলে হীরকের ঝিকিমিকি।
স্বর্ণকেশিনীরা সহজিয়া, ডাকতেই আসে, অন্ধকার হয়ে গেলে
আমরা জড়িয়ে চুমো খাই পরস্পরকে অবিরাম পিষি;
যদিও বঙ্গীয় আমি, তবুও স্বর্ণকেশিনী আমার ভেতরে ঢেলে
দিতে থাকে সোনা, একসঙ্গীতকাল অবিচ্ছেদ্য মিশি।
পরে সঙ্গীহীন নিগ্রোনী আমাকে ডাকে, হাত মেলে দেয়
হাতে, নাচতে চায়, অতো কুৎসিতের সঙ্গে আমার
নাচতে ঘৃণাই লাগে, কিন্তু সবলে সে আমার ঠোঁট কেড়ে নেয়
ঠোঁটে, আমি স’রে আসি, দেহে বিবমিষা প্রচণ্ড ঘৃণার।
পান করি, নাচ শেষে একসঙ্গে যাই, স্বর্ণকেশিনীর সাথে
প্রথম মিলিত হই, শিথিল কাদার মতো তার দেহে নেই অগ্নিগিরি
ঈর্ষায় নগ্ন নিগ্রো তরুণী আমাকে জড়িয়ে নিয়ে মাতে
অগ্নিনাচে; ভাঙে, ছানে, পোড়ে- দগ্ধ হয়ে আমি ঘরে ফিরি।
তারপর আরো অগ্নি, কাদা, তুষার দেখেছি; গেছি বহু বক্ষে, বাহুতে, ও ঘরে,
তার মতো কেউ ভাঙে নি, পোড়ে নি, ছানে নি; তা আজো মনে পড়ে।