পৃথিবী শান্ত হোক
হঠাৎ করে দমদমের একজন অতিমারীতে মারা গেলে শোরগোল পড়ে গেল এই নতুন রোগের। তার আগে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিতে, বিশেষ করে চীন,ইতালিতে লক্ষ লক্ষ লোক মারা যাচ্ছিল। টিভির পর্দায় ভেসে উঠছিল কিভাবে মৃতদেহগুলোকে প্লাস্টিকে বেঁধে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।২০২০ এক অভিশপ্ত বছর। দু একজনের মৃত্যুর ঘটনা শোনা যাচ্ছিল আমাদের দেশে। ক্রমে খুব দ্রুত মৃত্যুর হার বেড়ে গেল। আক্রান্ত মানুষদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারএ রাখা হলো। একটা আতঙ্ক প্রতিটি পরিবারে অস্থিরতার সৃষ্টি করলো। বন্ধ হয়ে গেল সবকিছু। লকডাউন শুরু হলো। দোকানপাট গাড়ি-ট্রেন দীর্ঘ দিনের জন্য বন্ধ। বহু শ্রমিক বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়ল। কত অল্প বয়সী ছেলে-মেয়ে এই অতি মারীতে প্রাণ দিল। ছোট শিশুরা অনাথ হয়ে গেল। প্রিয়জনের মৃতদেহটাও তারা পায়নি। এইভাবে দীর্ঘদিন অসহায় মানুষ দিন কাটলো। শ্মশান ঘাটে দীর্ঘ লাইন। হসপিটালে আর কোনও জায়গা নেই। ক্রমে পাড়ায়-পাড়ায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হলো। পুষ্টিকর খাবারই ছিল একমাত্র পথ্য। জ্বরের ঔষধ কাশির সিরাপ ছাড়া কিছুই করার ছিল না। এভাবে দীর্ঘদিন মানুষ চোখের জল ফেলল। সরকারি সাহায্য ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হল। গণ্ডি কেটে মানুষকে দূরবর্তী থাকার কথা বোঝানো হলো। যারা সুস্থ রইল, তাদের সঙ্গে পরিবারের দীর্ঘদিনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলো। এমন দুর্দিন আর কোনদিন যেন ফিরে না আসে। কত সহজে মানুষের প্রাণ গুলো চলে গেল। বহু ডাক্তার, নার্স, পুলিশকে আমরা হারিয়েছি। মানবিক এর কর্তব্য পালন করতে গিয়ে তাজা প্রাণ গুলো চলে গেল। দেবতাদের উদ্দেশ্যে নাম যদি বলি পৃথিবীর সর্বদা শান্ত থাকুক।