যুগে যুগে নারী লড়ছে একটু স্বাধীনভাবে বাঁচতে,
কালের নিয়মে সভ্যতার লড়াইয়ে একটু নিভৃতে শান্তিতে থাকতে।
অতীতের গোষ্ঠীবদ্ধ জীবনে ছিল নারী শুধু ভোগ্যপণ্য,
বীরত্ব অনুসারে পুরুষেরা বহুবিবাহ করে হতো ধন্য।
নারী মানে সমাজের সম্পদ সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র,
বিবর্তনের মুখে পরিবর্তন এলেও আসেনি নারীর স্বাধীনতা তন্ত্র।
ঘরে বাইরে নারীদের উৎপীড়ন নিপীড়ন আজও প্রতিভাত,
সামান্য কারণৈ নারীর প্রতি নেমে আসে অভিঘাত প্রতিনিয়ত।
স্বামীর অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে স্ত্রীর উপর চলে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন,
এ সব বহু নারী নীরবে সয়ে করছে দিনযাপন।
হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েদের অবস্থা আরও করুন; কহতব্য নয়,
সেই কারণে আজও গ্ৰামে গরিব মেয়েদের টেনে জমিতে বা পাট খেতে নিয়ে ধর্ষণ করলে বিচার না হয়।
ললিত নিম্ন জাতের মেয়েরা ঘায়েল জাতপাতেই,
তাদের ছোঁয়া জল অচল হলেও ধর্ষণে বাধা নেই।
লোভাতুর কিছু ছেলে এবং শশুর বাড়ি আছে তারা পণের জন্য ঘরের বৌ-কে করে অত্যাচার,
সমাজ সেখানে নিলজ্জ নিশ্চুপ হয়না তাদের বিচার।
নারী স্বাধীনতা, নারী দিবস যেন এক পরিহাস,
কিছু নারী যদিও স্বেচ্ছাচারী হয়ে করে স্বাধীনতার বিলাস।
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে তবুও প্রকৃত স্বাধীন নারী নয় আজও ঘরে ও বাইরেতে,
হিংস্র শ্বাপদ ওত পেতে থাকে সুযোগের অপেক্ষাতে।