ঢং ঢং ঢং করে ঘণ্টা বাজে ধীরস্বরে সমুদ্রের পরপারে ঘুমের ভেতরে
আটত্রিশ মাস ধরে রেশমমসৃণ ধ্বনি কপোতের কোমল আদরে
গ’লে পড়ে পাতা নড়ে বেণুবনে বঙ্গদেশে শীতলক্ষা হাম্বারের জলে
করুণ পদ্মের মতো কেঁপে ওঠে সৌরলোক অন্ধ বোবা চোখের কমলে।
জেনেছি মোমের প্রীতি, শাদা ত্বক, সিল্ক চুল, গ্রীবা, বাহু, অ্যাংলোস্যাক্সন
স্তন–নিবিড় স্থাপত্যকলা–হেলেনিক করাঙ্গুলি, ককেশীয় মন,
ম্যান্ডারিন লীলালাস্য, মৃত ভাষা ঠুকরে খায় মিনারের শাদা কবুতর
ডিং ডং রেশমি ধ্বনি সকল ছাপিয়ে ওঠে আটত্রিশ মাস ধরে ঘুমের ভেতর।
নিশিরে শিশিরে ভরে তোমার নামের স্বরে, নিষ্প্রাণ বস্তুর মধ্যে ক্রিয়া
রত নস্টালজিয়া, ঘণ্টা ও ধ্বনিকে ভেদ করে রাখে মূঢ় ইউরোপ-এশিয়া।