কতোবার লাফিয়ে পড়েছি ঠোঁটে ছাই হয়ে গেছি।
গ্রীবা জুড়ে শত্রু শহরের মতো ঝলোমলো মানিক্যখচিত তিল,
ঝাঁপিয়ে পড়েছি কতোবার আত্মহত্যালুব্ধ কামিকাজি বোমারু বিমান।
চৌরাস্তায় বিনামেঘে ঝলসানো রৌদ্রে কালো চুলে
আকাশের এপারওপার ফেড়ে ঝনঝন করে ছিটকে পড়েছি বজ্রপাত।
জংঘাস্রোত তোলপাড় করে অতল মধ্যসাগরের দিকে
কতোবার পেখম ছড়িয়ে ছুটে গেছি উত্তেজিত লাল রুই,
জড়িয়ে পড়েছি কতোবার আদিম আগুনের লতাগুল্মজালে।
হাতুড়ি পেরেক ঠুকে, পিছলে পড়ে, আবার দাঁড়িয়ে, পুনরায় পিছলে পড়ে
এবং দাঁড়িয়ে আসন্ধ্যাসকাল শ্রমে সময়ের শেষ পারে
কতোবার একলা চড়েছি থরোথরো দ্বৈতশৃঙ্গে,
–এক শৃঙ্গ থেকে অন্য শৃঙ্গ অনন্তকাল দূরবর্তী
ফসকে পড়েছি কতোবার মৃত্যুর প্রবালপান্নার অসমভূমিতে।
নখে ছিঁড়ে হলদে মোড়ক তামাটে টফির মতো
কতোবার ছুঁড়েছি জিভের খসখসে তলে,
চুষতে গিয়ে কতোবার আটকে গেছো তালুতে মূর্ধায়।
শুধু একবারই ঢুকে গিয়েছিলাম হৃৎপিণ্ডে–গেঁথে আছি
জীবনের বাট-পরা জংধরা মুমূর্ষ ছুরিকা।