যখন আমরা চুমো খাই, দুই জোড়া হাতে
জড়াই শরীর, কাঁপি ভূমিকম্পে, সাথে
কাঁপে দুইটি হৃদয়; দুই জোড়া ঠোঁটে
সুন্দরবনের নামহীন যতো ফুল ফোটে।
তোমার বগলে রেশমের মতো লোমে
জমে মুক্তো, আমি চোখ বুজে, ঘুমে,
পান করি। দেখা দেয় মনোরম জ্বর,
তোমার বুকের চন্দ্র, শুকতরা, কাঁপে থরথর;
রক্তজবার বনে প’ড়ে যায় সাড়া,
গোপন নিৰ্বরে ঝরে ভাইনের ধারা।
প্রস্তুত আমরা, ঢুকি স্বপ্নের ভেতর,
পদ্মানদী দুলে ওঠে আশ্বিনের ঝড়ে।
এটা যুদ্ধ নয়; বসন্তের কোমল বাতাস,
শরীরে অর্গ্যান আর লিরিকের শ্বাস;
ধীর মাইন, শান্ত ঢেউ, অবিরাম, স্থির,
ঘুমের অধিক ঘুম, কোনো লাজুক কবির
গুপ্ত পান্ডুলিপি। এটা যুদ্ধ, হানাহানি নয়,
এতে নেই রক্তপাত- জয়, পরাজয়।
এটা নয় নাসার অস্ত্রশস্ত্র, সফট্ওয়ার,
উদ্যত, স্বয়ংক্রিয়, যা দিয়ে বারবার
ধ্বংস করা যায় নীলগ্রহ, যুগল টাওয়ার,
এটা মৃদু বায়ু, পাপড়ি, পুষ্পের শৃঙ্গার।
এটা নয় ফ্রাংকরাইশ-ডয়েচলান্টের কাম-ব্যাকরণ,
এটা স্বপ্ন, মাইনের ঢেউ, একটুকু ছোট্ট মরণ।
এটা ছবি আঁকা, দুজনের দেহে লেখা দুজনের ছবি,
লিরিক, কবিতা, লিটার, যাতে দুজনেই কবি।