শ্রাবণের অঝোর ধারা,
কখনো মুষলধারে,
কখনো বা টুপটুপ।
এমনি এক অলস দিনে
মুখোমুখি আমি আর গুরুদেব।
দুজনেরই প্রিয় ঋতু বর্ষা,
সাক্ষী সঞ্চিতা।
বাইরে তখন কোথাও জল জমে গেছে,
কোথাও রাস্তায় কাদা,
কারো গায়ে বর্ষাতি তো কারো হাতে ছাতা।
বাইরে ব্যাঙের ডাক।
স্মিত হাস্যে গুরুদেব।
জীর্ণ শীর্ণ আঙুল দিয়ে ঘেঁটে চলেছেন কবিতার ছাপা অক্ষরগুলো।
মানসীর “বর্ষার দিনে” শোনার ইচ্ছা গুরুদেবের কন্ঠে।
আবদারে ঠোঁটে বেজে উঠেছিল কবিতা,
পাশ থেকে পতিদেবের আওয়াজ,
সঞ্চিতা পড়তে পড়তে অনেকক্ষণ ঘুমিয়েছো,
সন্ধ্যা হয়ে গেল,
গরম চায়ে চুমুক দিয়ে তাজা হও।
এদিক ওদিক দৃষ্টি,
কোথায় গুরুদেব!