আরে ছি ছি ছি ছি ছি, পাড়ার লোকে বলবে কী
রাত দুপুরে বাড়ি ফিরছে বড় মানুষের ঝি
সন্ধেবেলা মশারি ফেলে যারা ঘুমোতে যায়
মাঝরাত্রে হুড়ুস ধাড়ুস সবাই বারান্দায়
ঐ এল কি, না এল না, সঙ্গে আছে কে?
পাড়ার যত হুলো বেড়াল কোমর বেঁধেছে
রাস্তাখানা ছটফটাচ্ছে, তারও অমন দশা
গাছগুলোনও নিথর চুপ, বন্ধ পাতা খসা
গাড়ি থামবে চণ্ডীতলায়, বাকি পথটা হাঁটা
ভয় পায় না, আঁচল ওড়ায়, যম দুয়োরে কাঁটা।
কোথায় যায়, চরণ দুটি টলমলে না সোজা?
বড় মানুষের ধরন ধারণ সহজ নাকি বোঝা!
অঙ্গখানি সোনার বর্ণ, সোনার ভরি কত?
অমন মেয়ে হাত ঘুরোলেই আসবে শত শত
এক এক রাত ভোর হয়ে যায়, তবুও আসে না সে
পোড়া কপাল, সে নাকি আজ ছাদে রয়েছে বসে!
অপ্সরা না কিন্নরী গো, এল আকাশ পথে কোন
সিনেমার নায়ক তাকে উড়িয়ে আনল রথে?
হাসিতে যার মুক্ত ঝরে, মেঘবরণ কেশ
ধরা-ছোঁয়ার বাইরে যারা, দেখে নির্নিমেষ
ওগো কন্যা, তুমি হঠাৎ লক্ষ্মী মেয়ে হলে
কী যে বিপদ হবে বলো তো, পাড়ার দঙ্গলে!
গল্প নেই, রাত্রি জাগা হবে কীসের টানে
সবাই ফের চক্ষু গরম করবে দিনমানে
বড় মানুষের মেয়ে, তোমায় মন্দ হলেই মানায়
নইলে কেন জন্মালে না ওদের গরিবখানায়!