চোরের কীর্তি
এক গৃহস্থের বাড়িতে চুরি হয়েছে। পুলিশ এসেছে। বিভিন্ন রকমের জেরা করেছে বাড়ির সমস্ত সদস্যকে। পুলিশ সমস্ত কথা লিখে নিয়ে থানায় গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
একদিন যায় দুদিন যায় চোরকে আর খুঁজে পায় না পুলিশ। বাড়ির কর্তা প্রতিদিনই থানায় গিয়ে জেনে আসছে তদন্তের গতি প্রকৃতি।
চারদিনের দিন কর্তা থানায় এসে জানতে পারলেন প্রকৃত চোর ধরা পড়েছে। পরের দিন কোর্টে তোলা হবে। তারপর সবকিছু জানানো হবে ওনাদের।
পরের দিন যথারীতি চোরকে আদালতে পেশ করা হলো। সওয়াল জবাব চলছে।
বিচারপতি জানতে চাইলেন চোরের কাছে কেন তুমি চুরি করেছ?
আজ্ঞে হুজুর, এটাই তো আমার পেশা। পেশার তাগিদে চুরি করেছি। আপনি যেমন আপনার পেশার কারনে আমার বিচার করছেন।
কি কি চুরি করেছ?
আজ্ঞে হুজুর, সবকিছুই চুরি করেছি আর ঐ ঠান্ডা রাখবার যন্ত্রে ভাত আর মাছের ঝোল রাখা ছিল তাও খেয়েছি।
আচ্ছা বুঝলাম। বাড়িতে তো সবাই ছিল তার মধ্যে থেকে তুমি খেলেই বা কিভাবে আর চুরিই বা করলে কিভাবে?
আজ্ঞে হুজুর, আপনাকে আর কি বলবো। আপনি জেনে কি করবেন হুজুর। আপনি জেনে নিয়ে কি আমার পেটে লাথি মারবেন? হুজুর আপনি এতো লেখাপড়া শিখেছেন এতো ভালো চাকরি করেন আমার চুরি করবার পদ্ধতিটাও আপনাকে শিখতে হবে?
চোরের এই উত্তর শুনে বিচারপতি সহ আদালত কক্ষ…………।।