একটা দেশ ছিল, মা বলে ডাকা হত
নিজের ঘরখানা কখনও দেশ নয়, পৃথিবী আবছায়া
শখের টুকিটাকি, বাইরে হাহাকার
দু’ চোখ বুজে থাকা, দু’ কানে তুলো গোঁজা, কেমন বেঁচে
থাকা?
বাইরে যাও তুমি নদীর ধার ঘেঁষে
স্বপ্ন দেখা নয়, শুধুই ছবি নয়, সামনে বাস্তব
শীর্ণ অঙ্গুলি, অচেনা মুখগুলি
কথার কথা দিয়ে তুমি কি ফিরে যাবে নিরালা জানলায়?
শরীর ঘোরে ফেরে, জীবন দু’ রকম
একটা জানলায়, একটা মাঝে মাঝে নদীর কিনারায়
জীবন শুধু নয়, হৃদয়ে দুটি ভাগ
প্রথম আধো-চেনা, চেনারও ভ্রম হয়, দ্বিতীয় পলাতক।
কিছুটা ভালোবাসা, কিছুটা উচ্চাশা
এ হাতে পূর্ণতা, ও হাতে মরীচিকা, নিছক পাগলামি
জয়ের গরিমায় দামামা যে বাজায়
দেখেছ মুখখানা, সেও তো ঘন ঘন পেছন ফিরে চায়!
যে নিল সন্ন্যাস, সে-ও নার্সিসাস
দু’ হাতে বরাভয়, নিম্ন উদরেও লুকিয়ে রাখা ভয়
এ দিকে ডিডেলাস, ও দিকে ইকারুস
স্বর্গে সশরীর যুধিষ্ঠির তবু যেমন ঢাকে চোখ।
জীবন কেটে যায়, সহসা ফিরে দেখা
নারী ও নর্মের অমৃত ঘেঁচে কেন ওষ্ঠ বিস্বাদ
সত্যি? নাকি এও শখের হা-হুতাশ
মানুষ দূরে থাক, উচ্চাসনে শুধু বসাব মানবতা?