সহজে ফোটাতে গিয়ে অনিবার্য শব্দের কোরক
গোধূলি নিঃশেষ হলো দীর্ঘশ্বাসে। জন্মন্ধ ব্যর্থতা
উপড়ে ফেলতে চায় আমার মনের গুল্মলতা,
আমার পরাস্ত সত্তা জুড়ে নামে উদাসীন শোক।
হঠাৎ এলেন গুরু উদ্ভাসিত করে অন্তর্লোকে
রহস্যের মেঘ থেকে। ‘যদি চাও তুমি অমরতা,
তাহলে সংহত করো বাক, থামও প্রগলভতা,’
বলে তিনি স্তব্ধতাকে সাক্ষী রেখে মুদলেন চোখ।
তারপর অদৃশ্য পদ্মের মতো তিনি, মনে হয়,
গহীনে বিরাজমান। আমি তাঁর দীক্ষার মঞ্জরী
অঞ্জলিতে নিয়ে মিতাক্ষরে পবিত্রতা আঁকি শাদা
পাতা জুড়ে চিদানন্দে। অমরতা সকল সময়
কুহকের মতো ডাকে, একজন গহন মেস্তরি
স্বপ্নে আসে বাঁশি হাতে; নিমেষে হৃদয় হয় রাধা।