কোথা থেকে কখন কোথায় চলে যাই, মনেও থাকে না
এই জায়গাটার কী নাম? ওঃ হো, এর্নাকুলাম, কেন এখানে এসেছি?
সারাদিন কত হৈ হট্টগোল, ঘোরাঘুরি, পুরোনো গির্জায়
ভাস্কো ডা গামার কবর
সন্ধেবেলা কয়েকজন জোর করে নিয়ে গেল এক নাচের অনুষ্ঠানে
আমি নাচ কী বুঝি? শুধুই বাধ্যতামূলক বসে থাকা
অদূরে অস্থায়ী মঞ্চ, আমরা খোলা আকাশের নীচে, শীত শীত ভাব
একটা পুরনো প্রাসাদ, তার পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে নদী, এখনো নাম জানি না
এক বন্ধু বলল, দূর দূর, এসব দক্ষিণি নাচ কতক্ষণ দেখবে
পাঁচ মিনিটে আধ ইঞ্চি নড়ে না
সত্যিই তাই, জবরজং পোশাক ও মুখোশ, বড় বেশি চড়া রং
নর্তকরা আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে
উসখুস করছি, সিগারেট ধরানো যাচ্ছে না, গলায় সন্ধেবেলার তৃষ্ণা
হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকাল, কোথায়? আকাশে তো নয়,
বুকের মধ্যে নাকি?
না, না, তা হয় না, ওসব কথার কথা
ঈষৎ ধোঁয়াশার পোঁচ লাগানো তারা ভর্তি তকতকে আকাশ
কেউ যেন আমায় দেখছে, কেউ যেন তরঙ্গ পাঠাচ্ছে আমার দিকে
আমি ভাবছি, নাচ কখন শেষ হবে, আর নাচ ভাবছে,
কখন আমি উঠব
আমি ভাবছি, মুখোশের আড়ালে ঐ মানুষগুলোর সঙ্গে
কথা বলা যায়?
নাচ ভাবছে, আমায় অস্থিরতা আঁকা একটা মুখোশ পরিয়ে দেবে
আমি ভাবছি, ঐ যে পায়ের পাতার মৃদু কম্পন, ঈষৎ ভ্রূভঙ্গি,
বিলম্বিত লয়, এর কোনো অর্থ আছে?
নাচ ভাবছে, এই মানুষটির বিমানের টিকিট, হোটেলের ঘর
ঘন ঘন হাতঘড়ি দেখা। এর কি অর্থ আছে কিছু
আমি নাচকে দেখছি, নাচ আমায় দেখছে, এবার দু’জনের
হাত ধরাধরি হল, সময় মিলিয়ে গেল
এক ফুঁয়ে!