অবয়বে বড়ই অগোছালো গার্হস্থ্য জীবনরেখা,
অসম্পূর্ণ রাতের ছায়া লেপ্টে থাকে জড়তায়,
প্রত্যুষ কবেই আলো ফেলে পাখিদের সাথে মেতেছে কোলাহলে,
ভারী পর্দার আড়ালে ঘুম ভাঙেনি জানালার এপ্রান্তে।
উঠোন জুড়ে শুধুই গতানুগতিক ব্যস্ততার জল ফড়িং,
সময়ের বয়সে ছাপ পড়ে সোমত্ত রোদ্দুরে,
নড়াচড়া বাসনকোসনের সঙ্গে কাকেদের কা কা,
রান্নার সম্ভারের শব্দ ঝাঁঝালো সুরভিত ইত্যাদি ঘ্রাণে,
ফের একপ্রস্থ ঘুমের আয়োজন পাপ পূণ্যের গহ্বর মেনে……
ক্ষণস্থায়ী আলোয় উবে যায় বিকেলের প্রান্ত,
দমবন্ধ শূন্যতার দীর্ঘ ছায়া জেগে থাকে কিছুক্ষণ,
যন্ত্রণার কালসিটে দাগ পড়ে থাকে বিশ্বাসে,
অতীতের নাড়ি কাঁটা বর্তমানের চিলেকোঠা বলে উঠে
গার্হস্থ্যের আশ্রয়েই বেঁচে থাকে উষ্ণতা ছুঁয়ে সম্পর্কের জিয়নকাঠি…