সম্পর্ক
কদিন ধরে ববিতার মনটা খুব খারাপ।
ওর বাবা খুব অসুস্থ। এখন ওর সবথেকে যাকে পাশে প্রয়োজন ওর স্বামী শঙ্খ তাকে সে এই সময় পাশে পেলোনা। শঙ্খ’র ভাগ্নির বিয়ে তাই নিয়ে ও খুব মেতে রয়েছে। ববিতা বাবার পুরো বিষয়টা একা সামলাচ্ছে। অথচ ননদের মেয়ের বিয়ের বাজার করা থেকে শুরু করে তত্ব সাজানো পর্যন্ত সব দায়িত্ব সে নিজের মাথায় তুলে নিয়ে ছিল। আজ কিন্তু ওর পাশে ঈশ্বর ছাড়া কেউ নেই। শঙ্খের এই ব্যবহারে ববিতার মনে অভিমান জমে জমে পাহাড় তৈরি হয়েছে।সেই পাহাড় ডেঙ্গানোর ক্ষমতা শঙ্খর নেই। ফলে দুজনের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
এ ভাবে বেশ কিছুদিন কাটার পর শঙ্খ’র কিছুটা অনুতাপ হয়েছে এই ভেবে যে ববিতা তো ওর বাবা মা’র দায়িত্ব পালন করেছে।ওর দিদির মেয়ের বিয়ের সমস্ত কাজের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে, তাহলে তো ওরও এই সময় ববিতার পাশে থাকা উচিত। কিন্তু জেদ এমন জিনিস ভাঙবে তবু মচকাবে না। শঙ্খ ববিতা’র হোয়াটসঅ্যাপে একটা রবীন্দ্রসঙ্গীত পাঠিয়েছে “আমার হীয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাইনি তোমায় দেখতে আমি পাইনি”। গানটা শুনে ববিতা বুঝতে পারলো শঙ্খ নিজে মুখে তার অনুতাপের কথা বলতে পারছেনা বলে রবীন্দ্রসঙ্গীতের আশ্রয় নিয়েছে।