শ্মশানে একটাও চিতা জ্বলছে না
গ্রামটির স্বাস্থ্য ভালো আছে
গ্রামটির গণ্ডি অনেকটাই রুপো দিয়ে বাঁধানো
তিন দিকে ঘুরে গেছে নদী
কালবৈশাখীতে বটগাছটায় যে ডাল উড়ে গিয়েছিল
সেখানে গজিয়েছে নতুন চকচকে পাতা
চেতন মিস্তিরির খড়ের চালে তৃপ্ত ইষ্টকুটুম পাখিটি
গৃহস্থের খোকা হোক বলে ডাকল দু’বার
এ বাড়িতে কেউ নেই, হাওয়া আছে
বর্ষায় ঝলমল কুন্দকলির মতন স্বপ্ন আছে
মাটির মোহময় গন্ধের মতো প্রেম আছে
একটি জন্মান্ধ গিরিগিটির মতন বাসনার ছটফটানি আছে
ভাঙা শিবমন্দিরটার গায়ে চেতন মিস্তিরির আঙুল
চৌধুরীদের সিংহ দরজায় চেতন মিস্তিরির চোখ
রাস্তার এদিকে ওদিকে চেতন মিস্তিরির নিশ্বাস
গরম বাতাস ডাকছে—চেতন মিস্তিরি, চেতন মিস্তিরি
আকাশ থেকে লকলক করে নেমে এল বিদ্যুৎ
একটা শূন্য বাড়ি, কিন্তু সবই আছে!