হিমেল হাওয়া দিচ্ছে জানান কড়া নাড়ে শীত ,
পূর্ণিমা রাত রুপোয ধোয়া গাইছে খুশীর গীত ।
তাপমুক্ত,রোগমুক্ত প্রভাব চিরন্তন –
এবার বুঝি বেরিয়ে পড়ার এসেছে মাহেন্দ্রক্ষন ।
আকাশ আজ বাঁধনহারা নীল মেঘের ভেলা –
বনানী তাই দিচ্ছে হাসি ,পাখ-পাখালির খেলা ।
হৃদয় আমার দিচ্ছে শীস এ কোন আকুলতা –
ষড়ঋতুর পঞ্চঋতুর ভীষন ব্যাকুলতা ?
নবান্নের হাতটি ধরে আসছে শীতকাল ,
মাঠে মাঠে সোনার ফসল হাসি ভরা গাল ।
পৌষ পার্বণ ,খেজুর রস ,পাটালি ,পুলি- পিঠে –
প্রভাত রোদে পিঠ ঠেকিয়ে রসনায় জীবন মিঠে ।
সকাল-সন্ধ্যা চাদর মুড়ে দিচ্ছে যেন উঁকি –
মিষ্টি সকাল ,রোদের কিরণ নাই জ্বলনের ঝুঁকি ।
হিমেল হাওয়ায় হিমের স্পর্শ –
শিশির ভেজা ঘাসের আগায় জাগায় বুঝি হর্ষ !
শীতের রাতে গরম চাদর আগুন পোয়ানোর ঢল –
এমন সুখের , খুশীর দিন কোথায় আছে বল ?
শীতের রাতে কতই মজা যাত্রা পালা হবে –
স্কুলমাঠে মেরাপ বাঁধা সার্কাস পার্টি রবে ।
ঠান্ডারাতে সুখস্বপ্ন ,ঘুমের দেশে খেলা –
তাইতো মাগো ঘুম ভাঙতে আজ হয়েছে বেলা ।
নানান ফুলের জলসায় নীরব থাকে না মন ,
শিশির মাখানো স্নিগ্ধ ফুল সৌরভ ছড়ায় এখন ।
তোমরা বল মৃত্যু সময়,কেউবা বলে নীরবতা ,
আমি বলি ভালোলাগা ,সুখ মেশানো অধীরতা ।
তাপ মুক্ত দিবস-রাতি জাগায় বুকে প্রাণ ,
দরজা খুলে তাকিয়ে দেখি শীতের আহ্বান ।