কন কনানি শীতের রানী ঠক ঠকিয়ে কাঁপি
স্নানের ঘরে বালতি ভরে ভয়েই চেয়ে থাকি।
হটাৎ করে হুড় মুড়িয়ে,এমন শীতের বহর,
উঠবে কখন সূর্য্যি মামা কাটাই গুনে প্রহর!
আলমারির গরম পোশাক,উপচে পড়ছে বাইরে ,
কনকনানি কাটছে না কি করি বলনা ভাইরে !
বিছানা-বালিশ বরফ পালিশ,ঠান্ডায় হাড় হিম,
আঙুল গুলো চুপসে গেল ,শীতেই ভিতুর ডিম।
জানলা দরজা বন্ধ, তবুও শির শিরিয়ে উঠি,
সকাল হতে,অপেক্ষাতে বারান্দা রোদ্দুরে ছুটি।
লেপের ভেতর,আঃ কি আরাম,গরম,স্বর্গসুখ সকাল হয়েছে ভাবলেই,আতঙ্কে কাঁপে বুক।
শুয়েই শুনি,বাবার বকুনি,’কইরে বসলি পড়তে’
কি জ্বালা,কান ঝালাপালা,উঠি নড়তে চড়তে।
তবু ভালো লাগে,বেশ খিদে জাগে,সুগন্ধ বাইরে
মটর শুঁটি কচুরি,পিঠে,গুড়,আহা তুলনা নাইরে।