Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » শিল্প-ও-সাহিত্যের-মেলবন্ধন || Rina Ghosh

শিল্প-ও-সাহিত্যের-মেলবন্ধন || Rina Ghosh

শিল্প-ও-সাহিত্যের-মেলবন্ধন

শিল্প এবং সাহিত্য – দুটো আলাদা শব্দ কিন্তু একে অন্যকে আশ্রয় করে অবস্থান করে। সাহিত্য শিল্পের একটি মুখ্য অংশ। সাহিত্য এমন এক লেখনী যেখানে শিল্পের বা শিল্পীর বুদ্ধিমত্ত্বা ও ভাবনার আঁচ পাওয়া যায়।
শিল্প হল মানব সৃষ্ট কলা । কোনো শিল্পীর ভাবনার প্রতিফলন স্বরূপ নবরূপে যার প্রকাশ ঘটে তাই শিল্প। স্রষ্টা তার অন্তরের সৌন্দর্যকে অন্তঃস্থল থেকে বাইরে এনে মেলে ধরেন । শিল্পকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয় – প্রথমত দৃশ্য কলা – যার মধ্যে পড়ে স্থাপত্য, মৃৎশিল্প, রেখাঙ্কন, চিত্রাঙ্কন, চলচ্চিত্র নির্মাণ, আলোকচিত্র কলা ও ভাস্কর্য। দ্বিতীয়ত সাহিত্য কলা – যার মধ্যে আছে কল্প কাহিনী, নাটক, কবিতা ও গদ্য। তৃতীয় ভাগ পরিবেশন কলা – যার অন্তর্গত নৃত্য, সঙ্গীত ও মঞ্চনাটক।
সাহিত্য হল সামাজিক, দার্শনিক ও মনস্তাত্ত্বিক ভাবে অগ্রহজনক কোনো বিশেষ বিষয়ের উপর লিখিত রচনাবলী, যার লেখনশৈলী ও অভিব্যক্তিকে উৎকৃষ্ট শৈল্পিক মানের অধিকারী হিসাবে গণ্য করা হয়।
এখানে বলে রাখি সব রচনা কিন্তু সাহিত্য নয়। সাহিত্যের গুণাবলী রচনাকে স্পর্শ করতে না পারলে সেই সৃষ্টিকে কখনোই সাহিত্য বলা চলে না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন – ‘সাহিত্য’ মানে ‘হিতের সহিত’। অর্থাৎ কোনো ভালো কিছুর সাথে বা সঙ্গে। বিভিন্ন লেখক , কবি, সাহিত্যিক , ঔপন্যাসিক – এনারা লেখনীর মাধ্যমে বিশেষ কোনো ‘উদ্দ্যেশ্য সাপেক্ষ’ কাজ করে থাকেন। দেশের জন্য, সমাজের জন্য, সাধারণ মানুষের জন্য – বাস্তব অবাস্তব বিভিন্ন উদাহরণের সাহায্যে নিজেদের ভাবনার বীজ ছড়িয়ে দেন সাধারণ পাঠকের হৃদয় ও মস্তিষ্কে।
সাহিত্যে গদ্য পদ্য ও নাটকের প্রধান তিনটি বিভাগ ছাড়াও আলাদা আলাদা ভাবে এই বিভাগ গুলিরও শ্রেণীবিভাগ করা হয়ে থাকে। স্থান , কাল , পাত্র বিশেষে গদ্যের বিভিন্ন রূপের মধ্যে আছে উপন্যাস, গল্প, জীবনী ও আত্মজীবনী , স্মৃতিমূলক রচনা, ঐতিহাসিক বিবরণ, ভ্রমণবৃত্তান্ত। তেমনি পদ্য বিভাগে আছে কবিতা, গীতিকবিতা, মহাকাব্য, শোকগাথা, চতুর্দশপদী ও ছড়া। নাটক বিভাগের মধ্যে বিয়োগান্তক , হাস্যরসাত্মক, আবেগ – উত্তেজনাপূর্ণ প্রভৃতি। এছাড়া সাহিত্য শুধুমাত্র লিখিতই নয় , মৌখিকও হয়। যেমন – মৌখিক কাব্য, গীতিকাব্য, লোক সাহিত্য, পৌরাণিক কাহিনী, মহাকাব্য – বিভিন্ন রচনাগুলি শ্রবণ যন্ত্রের উপর নির্ভর করেই প্রজন্মান্তরে হস্তান্তরিত হয়ে এসেছে।
শিল্প ও সাহিত্যের মেলবন্ধন, তাদের শ্রেণীবিভাগের পর এবার আসি সাহিত্যের কথায়। বিখ্যাত কবি আর্চিবল্ড ম্যাকলিনের কথায় – “A poem should not mean / but be.” প্রকৃত সাহিত্যের জন্ম তখনই যখন ভাষার সৌন্দর্য ও আবেগের ক্রিয়াশীলতা শব্দের আশ্রয়ে রূপ লাভ করে। শব্দ, বর্ণ, ধ্বনি, ভাব, ব্যঞ্জনা, অলঙ্কার – প্রভৃতির মেলবন্ধনে সৃষ্টি হয় সাহিত্য। সাহিত্যের আদি শব্দ শিল্প হল – ‘কবিতা’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress