চোখের জল মাঝে মাঝেই বিরক্ত করে
কি করে এরাই তাকে?
সকল সময়েই জানালা খুলে রাখি আর হাসিকে ডাকি,
আয়, এ আমার দীর্ঘ প্রতীক্ষা।
অক্ষরের সাথেই বেশিটা সময় কাটাই
বর্ণপরিচয়কে বুকের মাঝে আঁকড়ে ধরে
প্রেম নিবেদন করি, আমাদের মিলনে কাব্যের জন্মহয়।
সকাল সাঁঝে কাব্যতরী ভাসাই ,
কবি ও কবিতাকে মেলাতে মেলাতেই সময় যায় কেটে ।
শুধু মাঝে মাঝে পৃথিবীর মাটিতে বিতর্ক আর দুঃসংবাদ গর্ত খুঁড়ে বিঘ্ন ঘটায়,
মন্দির,মসজিদ,গির্জা ডেকে ডেকে বলে
এই দেখ আমরা কেমন পরস্পরের হাত ধরে বসে আছি,অনন্ত হাসির মাঝে।
তোমরাই কেবল বিভেদ আর ভাঙ্গনে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ কর।
অক্ষর তুলে তুলে ভালোবাসাকে সাজাই-
সুন্দর সুন্দর কথামালা ফুল হয়ে ফোটে,
বিনি সুতোয় মালা গাঁথি,তারপর-
জীবনহাটে ফেরি করি ভালোবাসার মালা চাই গো ভালোবাসার মালা …..
শূন্য,রিক্ত,অবসাদগ্রস্ত মনগুলো ছুটে ছুটে আসে –
আমি একটার পর একটা গলায় পড়িয়ে দিই।
তখনই আমার খোলা জানালায় হাসিরা আসে,গান গায়,
আর দুঃখের ধর্ষণে সৃষ্ট চোখের জলগুলো- অংশুমালি শুষে শুষে,চুষে চুষে নিশ্চিহ্ন করে।
ভুল গুলোকে ডেকে এনে সরল সমীকরণ
করে সমাধান শেখাই।
একটা,দুটো ,তিনটে,চারটে ….অনন্ত প্রহর কেটে যায়-
দূরে,দূরে ঝাপসা মৃত্যুর অবয়ব ফোটে,
খোলা জানালায় শান্তিদূত এসে বলে-
এই দেখ সখা তোমার ছুটির ঘন্টা বেজেছে,
আমরা কজন তোমায় ফিরিয়ে নিতে এসেছি শান্তির রাজ্যে।