দূর ছাই! আর ভাল লাগে না ,
এক আকাশ বিতৃষ্ণা নিয়ে, জীবনভর –
হতাশার ঠোক্কর খেতে খেতে,
কখন যে খাঁদের কিনারায় এসে পৌঁছেছি
নিজেই তা জানতে পারিনি ।
এখন নৈরাজ্যের বাসিন্দাদের শব্দভেদীবানে
পারদর্শী করে জীবনের অলিম্পিকে পাঠানো হবে ।
আকাশে আকাশে পোস্টার টাঙানো ,
যারা সোনাজয়ী হবে –
তাদের শহীদ বেদিতে ইতিহাস লেখা হবে ।
আচ্ছা চোখের জলের খনিগুলো কি –
সমুদ্রের থেকেও গভীর? আর –
বত্রিশ ইঞ্চি বুকের খাঁচায় পাহাড় প্রমাণ দুঃখ –
কীভাবে লুকিয়ে থাকে ?
এই দুটি প্রশ্ন আমাকে সারাটা জীবন জ্বালাচ্ছে ।
আমার প্রশ্নের উত্তর নাই,
কেবলই কয়লা পুড়তে পুড়তে হচ্ছে ছাঁই ।
আমার যা কিছু চাই কোথায় পাই?
এখন গাছের প্রেতাত্মা কেদেঁ মরে –
রাজপথের গভীর অন্ধকারে ।
তপ্ত দুপুরে রৌদ্রের আস্ফালন ,
বিপ্লবের বাঁশি বাজাতে বাজাতে ছুটে যায় হ্যামলিন ,
শত বাঁধা এসে রক্ত ঝরায়, পাখিরা ভাষাহীন ।
সন্ধ্যার কালভার্ট প্রাণ পায়, সময় মুখরিত ,
সিগারেটের ধোঁয়ায় যৌবন হতাশা ভুলে থাকে ।
কফি হাউসের টেবিলের মুখে খই ফোটে ,
কবিতার খাতায় যুগ চেতনার স্বপ্ন ,
দুই কাপে তিন ঘণ্টা কাটিয়ে আশাবাদী ঘরমুখো।
মঞ্চে মঞ্চে পরিকল্পনার জয়ধ্বনি ,
তরুণ মেরুদন্ড ক্লোরোফর্মের দখলে ।
আকাশ ছোঁয়ার প্রত্যাশার পাহাড় থেকে –
কারা যেন দুরন্ত আশায় মৃত্যু নদীতে ঝাঁপ দিচ্ছে ।
এসো, চোখের সামনের কালো পর্দাটা সরিয়ে দিই ,
দিনের আলোয় সবাই দেখুক –
শকুনি মামা এখনও পাশা খেলছে ।