একদিন কেউ তোমাকে বলল, লুপুসুংশান!
তুমি কি ভাববে, এ কী উদ্ভট, লুপুসুংশান?
এর মানেটা কী? নাকি কিছু নেই, এমনিই যা-তা
ছেলেটাকে দেখে মনে হয় বুঝি ছিটভরা মাথা?
তা তো নয় ঠিক, আয়নার মতো ওর মুখখানি
দু’ চোখে হাসিতে যেন সে বলছে, পারবে না জানি!
কেন পারবে না? ভাবো ভাবো ভাবো, কুঁচকিয়ে ভুরু
ভাবনা-যুদ্ধে হেরে যাবে তুমি, বুক দুরুদুরু?
লুপুসুংশান কীরকম কথা, রুশ না ফরাসি?
এই পৃথিবীতে রয়েছে তো ভাষা কত রাশিরাশি
সংস্কৃত না সাঁওতালি, নাকি হিন্দি, মারাঠি?
শব্দটা কিছু গোঁজামিল, নাকি একদম খাঁটি?
কিংবা এমনও হতেও তো পারে, বাংলা বা চিনে?
গোটা-পঞ্চাশ অভিধান তবে আনবে কি কিনে?
দেখেশুনে যদি নানান ভাষার হরেক হরফ
মাথা বনবন, চাপাবে কি তবে ঠাণ্ডা বরফ?
লুপুসুংশান, লুপুসুংশান, শুনেছ কি আগে?
ভালো করে ভাবো, মনে কিছু সুর জাগে কিনা জাগে!
লুপুসুংশান পুলিশ কিংবা অতি পচামাছ?
গেলাস ভাঙার শব্দ? অথবা ন্যাড়া তালগাছ?
হারানো বোতাম, চিঠির বাক্স, পুতুলের বিয়ে?
মহা মুশকিলে পড়া গেল এই কথাটাকে নিয়ে
অ্যালজেব্রা না ঘড়ির অঙ্ক লুপুসুংশান?
ইতিহাসে কোনো শক-হুন দল, আর্য, কুষাণ?
এ কী এ কী এ কী, হাত-পা ঝাঁকিয়ে বলে, ধুত্তোর
হাল ছেড়ে দিলে? পারলে না আর দিতে উত্তর?
শোনো তবে বলি, এমন সহজ কথা বুঝলে না?
আর একটু মাথা চুলকে বুঝতে, এ যে খুব চেনা!
কেউ যদি এসে বলে হাসিমুখে লুপুসুংশান
তুমিও বলবে দু’ হাত বাড়িয়ে দুরুক দিটাং
আর যদি কেউ লুপুসুংশান বলে রাগ করে
তুমিও ঠোঁটটা বেঁকিয়ে বলবে ডিংফরগরে!
লুপুসুংশান এই শব্দের দু’রকম মানে
দুটোই সরল, তবে কথা এই যে-যেমন জানে।
লুপুসুংশান, লুপুসুংশান, কোন্ মানে চাও?
দুরুক দিটাং, ডিংফরগরে, নাও বেছে নাও!