যখন তোমার সঙ্গে কথা বলি টেলিফোনে, ভয়ে
ভয়ে থাকি, পাছে অকস্মাৎ ছেদ পড়ে
তোমার কথার ট্যাপেস্ট্রিতে।
বলা তো যায় না,
যন্ত্রের ব্যাপার, ক্ষ্যাপামির খ্যাতি তার
এ শহরে আজকাল বড়ই ব্যাপক।
টেলিফোনে ভেসে এলে কখনো তোমার
কণ্ঠস্বর, মনে হয় যোজন যোজন দূরে তুমি;
কথারা মেঘের মতো ছুঁতে গিয়ে ছোঁয় না আমাকে।
এ রকম ভঙ্গি ফোটে কথায় তোমার,
যেন কেউ আড়ি পেতে আছে, নিচ্ছে টুকে অন্তরালে
তোমার সকল কথা। আবীর তোমার গালে ছড়িয়ে পড়েছে,
ভেবে নিতে পারি; কখনো বা
অনুমান করি, ব্রত নিয়েছো নীরব থাকবার। মিনিটের
পর কত মিনিট নিথর কেটে যায়,
স্তব্ধতা ওঠে না বেজে এস্রাজের সুরে। অর্ন্তগত
হরিণকে বেঁধে
রেখেছো রজ্জুতে, তার খুরে উড়বে না
রাঙা ধুলো; ইচ্ছে হয় কথা দিয়ে তোমাকে সাজাই,
কিন্তু আমি নিজেও নির্বাক, ছন্নছাড়া
যন্ত্রের ভেতরে যদি পারতাম নিভৃতে চালানা
করে দিতে কিছু জ্যোৎস্না অথবা রোদ্দুর।
টেলিফোন রেখে বসে পড়বো ঠিক কবিতা লিখতে,
কেননা আমার মন নাছোড় খারাপ হয়ে যাবে।