লকডাউনে ক্লান্ত হয়ে
মোনালিসা শেষে
ছবির ফ্রেমে পা টি তুলে
রিল্যাক্স করে হেসে!
তন্দ্রা মতন এসেছিলো
চারদিক শুন সান
হঠাৎ পায়ের শব্দে ভয়েই
গেলোই উড়ে প্রাণ!
সিঁড়ি দিয়ে চড়ছে কে ও?
কোথ্থাও কেউ নেই!
কেমন করে ভাঙলো তালা?
ভাবলো কথা সেই!
আবছা আলো হালকা আঁধার
হঠাৎ মনে হলো
ভিঞ্চিদারই আত্মাটি কি
সত্যি এবার এলো!
চারটি শতক গেছে কেটে
দুইজনেরই ছবি
শিল্পী এবং মডেল মরে
ভূত, সে জানে কবি!
তবু মোনালিসার সে বুক
ধড়াস ধড়াস করে
পুরোনো প্রেম রিচার্জ করার
বাসনা সে ধরে।
এলো সে যেই কাছাকাছি
অমনি অ্যাটেনশন
আগের পজিশনে ফিরে
এবার নো টেনশন!
তারপরেতে চোখ যে নিলো
আঁধারটুকু সয়ে
মোনালিসা ভাবে গো হায়
কি দেখিনু ও এ?
এই ভিঞ্চিদাটি যে হায়
সে ভিঞ্চিদা নয়
এযে টলিপাড়ার রুদ্রবাবু
অন্য কেউ কে কয়?
সৃজিতেরই সৃষ্টিতেই
ভিঞ্চিদাটি হয়ে
রুদ্রনীল সেই তো বটে
হায় গেলো ওই বয়ে?
মেক আপটুকু নিয়ে বটে
সে তো প্রস্থেটিকেই
ভিঞ্চিরই ওই সৃষ্টিকে সে
চ্যালেঞ্জ দিলো কি এই?
শ্বাস ছাড়ে যে মোনালিসা
হৃদ গেলে তার ফাটি
একা চুপ রোম্যান্সেরই
প্ল্যান যে হলো মাটি!
তবু জিও বাঙালি ও,
সৃজিতবাবু তুমি
মোনালিসা বোকা হলো
ভারতকেই যে নমি!