শূন্য মোটেই শূন্যগর্ভ নয়, পূর্ণতার অস্তিত্ব
শূন্য থেকেই সৃষ্টি মহাবিশ্বের,শূন্যই রহস্য সৃষ্টির
শূন্যই দিকনির্দেশ করে অনন্ত অসীমের,
শূন্য আর অসীমের দ্বৈত অস্তিত্বই প্রাণের মন্দির,
শূন্যই দীর্ঘ প্রতীক্ষা তপঃক্লিষ্ট ঋষির,
শূন্যতায় আছে নিস্তব্ধ নিজস্ব স্বত্বা, ব্যক্তিত্বের অহঙ্কার
শূন্যতা নেয় শুষে একাকীত্বের ভাঙ্গা টুকরোগুলো,
শূন্যতা জীবন পদাবলীর নাট্যরূপ, বাঘিনীর মতো ক্ষিপ্র
শূন্য থেকেই ঝরে বানভাসি বর্ণমালা,
শূণ্য মানেই কবিতার ছাপাখানা, কাছে পাই গোপন সৌরলোক
শূন্যই সৃষ্টিকল্প, শূন্য নিয়েই হইচই, কলরোল,
শূন্যতাকে অস্বীকার করে কাটাকুটি খেলছি
শূন্য দিয়েই ভবিষ্যৎ স্থাপত্যের বাসর গড়ি,
শূন্যতায় স্বপ্ন দেখি মেঠো আল ভাঙ্গা পথ
শূন্য স্টেশন বড় আপন মনে হয়, ওপারে অপেক্ষায় আমার আপন জন।
শূন্যই সাঁকো ধণাত্মক ঋণাত্মক সংখ্যামালার মাঝে
শূন্যের সূক্ষ্ম বাস্তব পটভুমিতে, মধ্যযুগের চোখ ধাঁধানো শিল্পের সৃষ্টি
শূন্য দিয়েই ফিলিপো ব্রুনোলিসি’র “পার্সপেক্টিভ” নূতন আইডিয়া,
শূন্য থেকেই রেনেসাঁর প্রত্যুষকালে সৃষ্টি যুগান্তকারী এক জীবন্ত শিল্প,
শূন্যই চুম্বকের মতো আকর্ষণ করে মোনালিসা’র ভূবনভোলানো হাসি।
শূন্য আর শূন্যতা সমার্থক হয়, ধ্বংসের পরও পৃথিবী টিকে রয়,
শূন্য থেকেই সভ্যতার উত্থান, শূন্যতেই সভ্যতা বিলীন হয়।