Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » মনুষ্যক্লেশ নিবারণী সমিতি || Sanjib Chattopadhyay » Page 5

মনুষ্যক্লেশ নিবারণী সমিতি || Sanjib Chattopadhyay

একটা বাল্য ফিউজ হয়ে গেছে।

দাম কত?

চার-পাঁচ টাকা হবে।

তাহলে আমরা সকলে পঁচিশ পয়সা করে চাঁদা দি।

আবার চাঁদা স্যার! শ্রবণেই ভীতি। দুগগা পুজো থেকে সরস্বতী পর্যন্ত লাগাতার চাঁদা। মুঠোমুঠো চাঁদা। সংসারী মানবের পক্ষে বড়ই ক্লেশের কারণ।

সামান্য পঁচিশ পয়সায় এত ক্লেশ!

আজ্ঞে হ্যাঁ। পঁচিশ পয়সা আমার এক পিঠের বাস ভাড়া। পঁচিশে একটা পাতিলেবু, দুটো সিগারেট, পাঁচটা বিড়ি কিংবা পঞ্চাশ গ্রাম লাল-লাল কঁচা লঙ্কা। লিটল ড্রপস অফ ওয়াটার, লিটল গ্রেনস অফ স্যান্ড।

উঃ কি যন্ত্রণায় যে পড়া গেছে! ছেলেবেলায় পাঠ্যপুস্তকে গোটাকতক কবিতা, সেই কবিতার কোটেশান শুনতে-শুনতে কান পচে গেল। এই এক লিটল ড্রপস আছে আর-একটা আছে জন্মিলে মরিতে হবে, আর-একটা আছে টু আর ইজ হিউম্যান, আর-একটা আছে লোকে যারে বড় বলে, আর-একটা আছে ভাবিতে উচিত ছিল প্রতিজ্ঞা যখন, আর-একটা আছে জীবে দয়া করে যেই জন, আর-একটা আছে…

ওরে কেউ তোরা থামা না ওকে।

এই মশাই স্টপ, একদম চুপ, ক্লেশদায়ক মানুষ।

হবে না। উনি যে একজন প্লিডার। প্লিড করে করে কত মক্কেলকে কত জজ সাহেবকে খতম করে দিলেন। ইহাকে বলে ভার্বাল টর্চার।

সভাপতি মৃদু কেশে বললেন, আমরা শুরু করেছিলাম ফিউজ বা দিয়ে। সেখান থেকে চলে গেছি জীবে দয়াতে। খুব হয়েছে ভাই সকল, একটা আলো না জ্বললেও ক্ষতি হবে না। এখন কাজের কথায় আসা যাক। কাজ না করলে চিত্ত বড়ই ব্যাকুল হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই সমিতির অধিবেশন বসছে।

দীর্ঘদিন কোথায় মশাই! চারটে অধিবেশন হয়েছে, আজ হল পঞ্চম।

আমার কাছে দীর্ঘ। বয়স ভেদে সময় স্লো ফাস্ট হয়। শেক্ষপিয়র পড়েছেন আপনারা?

শেক্ষপিয়র নয়, শেকসপিয়র, মোক্ষমূলর নয় ম্যাকমুলার।

ধ্যার মশাই! শেকসপীয়র নয় পিয়ার, শেকসপিয়ার।

আপনি আমার চেয়ে বেশি জানেন? ই আর এ ডিপথং হয়ে অ।

ডিপথং? ডিপথং আবার পেলেন কোথায়?

সভাপতি মৃদু হেসে ঝগড়া থামালেন, আমি শেক্ষপিয়র, শেকসপিয়র, পিয়ার সব উইথড্র করে নিলুম। মনে করুন আমিও পড়িনি আপনারাও পড়েননি।

না, তা কেন? তা মনে করব কেন? আমরা শেকসপিয়ার পড়েছি অনেকে।

আমি বাদ। আমি পড়েছি শেকসপিয়ার। ডেফিনিটলি পড়েছি।

সভাপতি দুহাত তুলে বললেন, কি বিপদেই পড়া গেল!

বিপদ তো আপনি নিজেই তৈরি করলেন। হচ্ছে মনুষ্যক্লেশ, আমদানি করলেন ছাত্রজীবনের ক্লেশ শেকসপিয়ারকে।

শেকসপিয়ার ক্লেশদায়ক? বলেন কি!

ঠিকই বলি, যে-কোনও পাঠ্যবস্তুই মনুষ্যক্লেশের কারণ, যে-কোনও অপাঠ্যই চিত্তবিনোদনের হেতু। যে-কোনও মানুষকে ডেকে জিগ্যেস করুন, কজনের ছাত্রজীবন সুখের ছিল। কজনের মনে আছে শেকসপিয়ার।

আমার রয়েছে–টাইম ট্রাভেলস ইন ডাইভার্স পেসেস উইথ ডাইভার্স পার্সনস। আই উইল টেল ইউ হু টাইম অ্যাম্বলস উইথাল হু টাইম গ্যালপস। বলুন তো কোথায় আছে?

আমি একটু বাইরে থেকে আসছি।

ওই দেখুন, কুইজ কনটেস্ট হচ্ছে ভেবে পালাচ্ছে।

না তা নয়, ছোট বাইরে।

ছোট বাইরে! স্কুলে কলেজে সর্বত্র তুমি এই করে এসেছ। পড়া ধরা শুরু হলেই ছোট বাইরে।

আজ্ঞে না-আ।

আজ্ঞে হ্যাঁ-অ্যা। ছোট বাইরেতে যেতে হয় যান, বলে যান কোথায় আছে।

আপনি বলুন না।

আপনি বলুন না।

সভাপতি নস্যি ডিবে টেবিলে ঠুকে বিবদমান দুই পক্ষকে থামিয়ে দিলেন, শান্তি শান্তি।

হোয়াই শান্তি, আমি একবার বলবই, দুয়ো হেরে গেছে দুয়ো।

হেরে গেছি! বাঃ বেশ মজা। আপনি আবার জিতলেন কখন?

আমি নিউট্রাল। না নেগেটিভ না পজেটিভ, হ্যাঁ-হ্যাঁ বাবা, কমপ্লিটলি নিউট্রাল। হেরেছেন আপনি, গো হারান হেরেছেন। নিউট্রালরা কখনও হারে না। গুম হয়ে বসে থেকে মৃদু-মৃদু হাসে, হারজিতের খেলা তার পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।

সভাপতি গলা ছেড়ে বললেন, মনুষ্যক্লেশ নিবারণী সমিতিটাই এখন দেখছি দারুণ ক্লেশের কারণ হয়ে উঠছে। ক্লেশ তো কমবেই না। উলটে আরও ক্লেশ যোগ করে ছাড়বে। এটাকে তুলে দেওয়া হোক!

না না। তোলা চলবে না। সকলে সমস্বরে চিৎকার করে উঠলেন।

তুলে দিলে এই সন্ধেবেলাটা আমরা যাব কোথায়? সাত তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার মতো ক্লেশদায়ক আর কি আছে? আমাদের বাড়ি…।

বক্তা উঠে দাঁড়িয়ে সকলের দিকে হাসি-হাসি মুখে তাকালেন, আমাদের বাড়ি, সেই হোম হোম সুইট হোম। স্বামী স্ত্রী যেন দুটি খত্তাল। একটি ঘরে আর একটি বাইরে। যতক্ষণ দুজন দুদিকে, অলরাইট, শান্তি। যেই কাছাকাছি স্ট্রাইকিং ডিসটেনসে এল, ঝম ঝম ঝম ঝং। চিনে বাদ্যি শুরু হল। তা সেই পুংখত্তালের আটক থাকার জায়গাটাকে আপনারা উঠিয়ে দেবেন? আমরা এখানে। থাকলে গেরস্তরা তবু একটু শান্তিতে থাকে।

বক্তা বসলেন। সভাপতি বললেন, দ্যাট মিনস এই সমিতি কিছু কাজের হয়েছে।

অফকোর্স হয়েছে। এই তো হোমিওপ্যাথিক কায়দায় সেদিন মেয়ে দেখে এলুম। উঃ, সে এক এক্সপিরিয়েনস মশায়।

কীরকম, কীরকম? সকলে উৎসাহী হয়ে উঠলেন শোনার জন্য।

ভাইপোর বিয়ে। মেয়ে দেখা হচ্ছে। সেদিনে সেই উনি বললেন না, মেয়ে বাজিয়ে নিতে হয়। বাড়িতে বললুম, ব্যাপারটা আমি হ্যাঁন্ডল করব। একটা বউমা আনব তবে বাজিয়ে আনব। সকলেই রাজি, দেখা যাক তোমার কেরামতি। আমার ফ্রেন্ড পঞ্চানন হোমিওপ্যাথি করে। সোস্যাল সার্ভিস নয়, ফিওয়ালা হোমিওপ্যাথ। চল পঞ্চু, দেখি তোমার কেরামতি। স্পাইগিরি করতে হবে। ভাবলক্ষণ দেখে বুঝতে হবে একটি মেয়ের ভেতরে কি আন্ডার কারেন্ট বইছে। জেনেটিক স্ট্রাইকারটা ধরে ফেলতে হবে ওপর থেকে। ছেলের দুই কাকা সেজে, বড়কাকা আর ছোটকাকা…।

হাসালেন মশাই, কাকার আবার বড় কি? কাকা বড় হলেই তো জ্যাঠা হয়ে যায়। বলুন মেজোকাকা, সেজোকাকা।

সেকী! ব্যাপারটা তাহলে তো খুব কেলো হয়ে গেছে মশাই। আমরা তো ছেলের বড়কাকা আর ছোটকাকা বলে মেয়ে দেখে এলাম তিন ঘণ্টা ধরে।

ধরে ফেলবে, ফিশি অ্যাফেয়ার। বড়কাকা হয় না।

কে বলেছে হয় না, ছোট হলে বড়ও হয়। সেই পড়েননি বড় যদি হতে চাও ছোট হও তবে।

লাও এ আর-এক পণ্ডিত। আরে মশাই এ বড় সে বড় নয়। বয়েসে বড়।

আপনি মশাই আর-এক মূর্খ। ছোট বয়স বেড়ে-বেড়েই তো বড় বয়স হয়। যেমন ধরুন আমার পিতা। পিতা ছোট ছিলেন, পিতা বড় হতে শুরু করলেন, পইতে হল, আরও বড় হলেন, হতে-হতে আমার পিতা হলেন।

গবেট, ফাশক্লাস গবেট। স্ট্যাটাস, সম্মান, সম্মানের কথা হচ্ছে, হাইট, বয়স, ওজন এসব কোনও ফ্যাকটারই নয়। যে-কোনও ছোটকাকার বয়স পাঁচও হতে পারে বেঁচে থাকলে একশোও হতে পারে। দে আর বরুন লাইক দ্যাট, ছোটকাকা, মেজোকাকা, সেজোকাকা, বড়কাকা, মেজোজ্যাঠা, সেজোজ্যাঠা অ্যান্ড সো অন।

দাঁড়ান, দাঁড়ান ব্যাপারটা কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে। কই আমি তো পিতা হয়ে জন্মাইনি। জন্মে তবে পিতা হয়েছি। তবে হ্যাঁ পড়েছি, ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে। তার মানে কাকা হয়ে, জ্যাঠা হয়ে জন্মানো যায় একসেপ্ট পিতা। পিতাস আর মেড নট বরুন। মাথাটা কেমন করছে। আমি সভাপতির সাহায্য চাই। প্লিজ এই ঘোটপাকানো ব্যাপারটা একটু সমঝে দিন।

সভাপতি বললেন, ব্যাপারটা হল রিলেশানের ব্যাপার। একটা ব্ল্যাকবোর্ড থাকলে বোঝানো সহজ হতো। যাক এই কার্ডবোর্ডটায় এঁকে বুঝিয়ে দি। দশটা লোক পাশাপাশি। ধরা যাক তিন নম্বর ব্যক্তি কারুর পিতা। তাহলে কি হল?

আজ্ঞে তিন নম্বর ব্যক্তি তাহলে কারুর পিতা হলেন।

ইয়েস। এ পর্যন্ত তাহলে ক্লিয়ার?

হ্যাঁ ক্লিয়ার।

তাহলে তিন নম্বর ব্যক্তি যার পিতা, দুনম্বর ব্যক্তি তার মেজোজ্যাঠা, প্রথম ব্যক্তি তার বড়জ্যাঠা। এই হল ওপর দিকের রিলেশান। এইবার পিতার নীচের দিকে যারা তারা সব কাকা, ছোটকাকা, নকাকা, রাঙাকাকা।

দাঁড়ান পজিশনটা একটু সরিয়ে নি, ধরা যাক ওই সারির চতুর্থ ব্যক্তি তো আমার পিতা হলেন না, তিনি আমার জ্যাঠা হলেন, কোন জ্যাঠা?

সেজো জ্যাঠা।

পঞ্চম ব্যক্তি কে হলেন?

ন’কাকা।

তার মানে ছোটকাকা উবে গেলেন!

উবে নয়, যার ছোটকাকা হওয়ার কথা ছিল তিনি হয়ে গেলেন বাবা। সম্পর্ক বুঝতে গেলে সারেগামা বুঝতে হবে। এই সারির দশটি লোক হল, বড়, মেজো, সেজো, ছোট, ন, রাঙা, নতুন, গোলাপ ইত্যাদি। এইবার এদের ছেলেপুলে, ডালপালায় নানা সম্পর্ক।

কি আশ্চর্য ভাই, এই প্রথম আবিষ্কার করলুম জন্মেই বাবা হওয়া যায় না তবে জ্যাঠা কি কাকা হওয়া যায়, বাবাস আর মেড নট বরন।

খুব জ্ঞান বেড়েছে মশাই। এদিকে মনুষ্যক্লেশ নিবারণী। মেয়ে দেখা কেমন হল তা আর শোনা হল না।

সভাপতি বক্তাকে মেয়ে দেখার কথা বলতে আদেশ করলেন। বক্তা আবার শুরু করলেন?

আমি ছোটকাকা, পঞ্চু ডাক্তার বড়কাকা। পঞ্চুকে দেখতে-শুনতে বড়-বড়ই লাগে, বেশ ভারিক্কি। মেয়েকে তখনও আসরে ছাড়া হয়নি। মেয়ের বাবা সামনে বসে আলাপসালাপ করছেন। কোলের ওপর নিজের থ্যাসকান উদর, মুখটি গোলাকার, নাকের ডগাটা গণ্ডারের মতো, ঈষৎ লাল। চুল বুরুশের মতো, কালো কুচকুচে। একটা চোখ সামান্য ছোট। হাতের আঙুল পাকার মতো। প্রথম পাবে ছাড়াছাড়া চুল, শূন্য নম্বর পেন্টব্রাশের মতো; সোজা-সোজা হয়ে আছে। কথা বলতে বলতে কলার মতো আঙুল দিয়ে হাঁটুতে বাজনা বাজাচ্ছেন কেটল ড্রামসের মতো। মাঝে-মাঝে হাঁটু নাচাচ্ছেন, ভুরু কোঁচকাচ্ছেন। পঞ্চু ডাক্তার সব লক্ষ্য করছে। আমি দেখছি বুঝছি না কিছুই, একটু অস্বাভাবিক লাগছে এই যা। পঞ্চু দেখছে এবং বুঝছে। পঞ্চ হঠাৎ প্রশ্ন করল, আপনার বাবার সামনের দাঁত দুটো কি ফঁকা ছিল? ভদ্রলোক থতমত খেয়ে বললেন, কেন বলুন তো?

না এমনি।

ভদ্রলোক ঢেউ করে একটা সেঁকুর তুললেন। ডক্টর পঞ্চানন সঙ্গে-সঙ্গে জিগ্যেস করলে, আপনার মায়ের কি অম্বল ছিল? ভদ্রলোক অপ্রস্তুত হয়ে বললেন, ছিল কি! আছে। মা এখনও জীবিত। আর ওই একটাই অসুখ। পঞ্চানন হঠাৎ অন্য প্রসঙ্গে চলে গিয়ে প্রশ্ন করল, আপনার ঠাকুরদা কি শীতকালে কনকনে ঠান্ডা জলে চান করতে ভালোবাসতেন? ভদ্রলোক অপ্রস্তুত হয়ে বললেন, ঠিক বলতে পারব না। পঞ্চানন সঙ্গে-সঙ্গে প্রশ্ন করল, আপনার বাবার ছিল ঠিক উলটো, শীতকালে জল দেখলেই ভয়ে সাত হাত দূরে সরে যেতেন। ভদ্রলোক এইবার বেশ রাগতভাবেই বললেন, এ সব প্রশ্ন কেন? পঞ্চুর উরুতে অদৃশ্য চিমটি কেটে বললুম, ইনি অল্প বিস্তর ডাক্তারি করেন তো, হোমিওপ্যাথি, ভীষণ নামডাক।

ভদ্রলোকের রাগ কমেছে বলে মনে হল না। তিনি বললেন, আপনারা তো মেয়ে দেখতে এসেছেন, রুগি দেখতে আসেননি। সবিনয়ে বললুম, তা ঠিক, তবে কিনা ভালো ডাক্তারের চোখে সবাই রুগি, যেমন, ভালো জ্যোতিষীর চোখে সবই গ্রহ, ভালো ধর্মগুরুর চোখে সবাই পাপী।

পঞ্চানন উৎসাহের চোটে উঠে পড়েছে। দূরে দেওয়ালে একটা অয়েল পেন্টিং ঝুলছিল। রুদ্রাক্ষের মালা পরা তেঁটিয়া এক বৃদ্ধ আসনে বসে আছেন। পঞ্চানন ছবিটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে দেখতে জিগ্যেস করল, পায়ের আঙুলে কড়া ছিল এনার? প্রস্রাবের দোষ ছিল কি? শীতে হাঁপানি হতো? মুদ্রাদোষ ছিল?

ভদ্রলোক আসন ছেড়ে উঠে আমি কিছু করার আগেই ভীমবেগে তেড়ে গিয়ে ডক্টর পঞ্চাননের গালে এক থাপ্পড় ইডিয়েট, আমার গুরুদেবকে নিয়ে রসিকতা! গেট আউট, গেট আউট।

ন্যাজ তুলে দুজনেই রাস্তায়। পঞ্চাননের গাল লাল।

আমি বললুম, পঞ্চানন, তুমি সব ছেড়ে গুরুদেবকে নিয়ে পড়লে কেন? মেয়ে, মেয়ের বাপ, মা, বাপের বাপকে দেখতে পারো, গুরুদেবকে ধরে টানাটানি করে কি পেলে?

পঞ্চা বললে, বেঁচে গেলে। গুরুকে ধরে টানতেই হাই-প্রেশার বেরিয়ে পড়ল। জেনেটিক্যালি ওদের বংশে পাগলের বীজ ঘুরছে।

Pages: 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress