Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » মনুষ্যক্লেশ নিবারণী সমিতি || Sanjib Chattopadhyay » Page 3

মনুষ্যক্লেশ নিবারণী সমিতি || Sanjib Chattopadhyay

সভার কাজ তাহলে শুরু করা যাক, বলে সভাপতি হুঁককু-ককু করে কেশে উঠলেন। সিজন চেঞ্জ। কাশি হয়েছে। সম্পাদকের চটির স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে গেছে। পেছন থেকে কে চেপে ধরেছিল। ছেঁড়া স্ট্র্যাপে নীচু হয়ে একটা পেপার ওয়েট ঠুকে-কে ড্রয়িং পিন লাগিয়ে টেমপরারি মেরামত করতে করতে বললেন, হ্যাঁ, হ্যাঁ শুরু করে দিন। টেবিলের তলা থেকে পুরোনো খানকতক চেয়ারের গা বেয়ে। সম্পাদকের সমর্থন সভ্যদের কানে এল।

জুতোয় আবার কি হল?

আর বলেন কেন? ম্যাগনাম সাইজের এক মহিলার পদাঘাতে স্ট্র্যাপ ফটাস। এতটা রাস্তা স্রেফ টানতে-টানতে এসেছি। এখন দেখছি যদি কিছু করা যায়।

ছেড়ে দিন ছেড়ে দিন, ও আপনার কম্ম নয়। যার কাজ তার সাজে। উঠে চেয়ারে বসুন।

দাঁড়ান এক মিনিট, একটা হাতুড়ি পেলে এতক্ষনে হয়ে যেত। গোলাকার পেপারওয়েটে তেমন জোরালো ঠোক্কর লাগাতে পারছি না।

সভাপতি আর-এক পশলা কাশি ছাড়লেন। ছেড়ে বললেন, আজ একটু সকাল-সকাল সভা শেষ করতে হবে। তোমার ওই পাদুকাপর্ব এখন রাখো। রমণী আর চটি দুটি বস্তুই সহজে বশ্যতা স্বীকার করতে চায় না। যত ঠুকবে ততই বিগড়োবে।

কথাটা বড় জব্বর বলেছেন কিন্তু মনুষ্য জীবনের দুটি ক্লেশ, রমণীয় রমণী এবং এই চটি। অপরিহার্য অথচ অবাধ্য। সৃষ্টিরক্ষার জন্যে সব স্পিসিজেরই মেল ফিমেল প্রয়োজন কিন্তু প্রয়োজন ফুরোবার পরও এই যে টেনে-টেনে চলা এর কি কোনও প্রতিকার নেই?

অবশ্যই আছে।

যেমন?

যেমন মাকড়সা। স্ত্রী মাকড়সা প্রয়োজন মিটে গেলেই পুং মাকড়সাকে খেয়ে মুখ মুছে জালের ভেতর গ্যাট হয়ে বসে থাকে। চলে আও কোন আয়েগা আ যাও।

তার মানে আপনি বলতে চাইছেন স্ত্রী মনুষ্য বিশেষ একটি সময়ের পরে পুং মনুষ্যকে কড়মড়িয়ে শেষ করে দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে হেঁকে বলবে, আ যারে ম্যায়তো কবসে খাড়ী হুঁ। হরি, সিম্পলি হরি। ভাবা যায় না দাদা।

ভাবা যায় না দাদা! সত্যি কথা বললেই হরিবল। মাকড়সা তৎক্ষণাৎ যা করে মহিলা মনুষ্য সেই একই কাজ ধীরে-ধীরে ওভার দি ইয়ার্স সিসটেমেটিক্যালি করে। কেন তুলসীদাস মনে নেই :

দিনকা মোহিনী, রাতকা বাঘিনী,
পলক পলক লহু চোষে।
দুনিয়া সব বাউড়া হোকে
ঘর ঘর বাঘিনি পোষে।

বিশুদ্ধ বাংলায়, যে দিবাভাগে মোহিনীসদৃশী ও নিশাভাগে বাঘিনিতুল্য হইয়া মুহূর্তে মুহূর্তে দেহের শোণিত চুষিয়া খায়, জগতের লোকে উন্মত্ত হইয়া প্রতি গৃহে সেই বাঘিনিকে প্রতিপালন করিতেছে।

সম্পাদক জুতো মেরামতের ব্যর্থ চেষ্টা ছেড়ে মনমরা হয়ে বসেছিলেন, তিনি এইবার সোৎসাহে বললেন, ঠিক বলেছেন। রাতের কথা ছেড়ে দিন, সে অনেক কথা, কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরোবে, বলতে হবে, দোষ কারোও নয়গো মা, আমি স্বখাত সলিলে ডুবে মরি শ্যামা, এই দিবাভাগেই দেখুন না, পেছন থেকে চেপে ধরে চটির স্ট্র্যাপটা ছিঁড়ে দিলে। কি করতে পারলুম! নাথিং, শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলুম। লাল করমচার মতো দুটি ওষ্ঠ। নাভিদেশ ঘিরে গোল করে বিন্দু বিন্দু চন্দনের ফোঁটা। ফিনফিনে ছাপা শাড়ি। বাতাসে সুগন্ধ। এ্যারম করতে করতে, এ্যারম করতে করতে, নাচতে নাচতে, দুলদুলের ঘোড়ার মতো চলে গেল। গ্রাহ্যই নেই। যেন চটি ছেঁড়ার জন্যেই জন্মেছেন। অথচ…।

সভাপতি হাত তুললেন, থামানোর ইঙ্গিত, স্টপ, স্টপ। এ সম্পাদক শুড রিমেন নন কমিট্যাল। কাগজে চিঠিপত্রের কলমে লেখা থাকে দেখনি, মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নহে।

না, আমি থামব না, আমার ভীষণ ফিলিংস এসে গেছে। সম্পাদক হলেও আমি একটা মানুষ তো। ডাউন দি মেমারি লেন আমাকে বছর তিনেক পেছিয়ে যেতে দিন। সেই দিনটা আমি কিছুতেই স্মৃতি থেকে মুছে ফেলতে পারছি না। ডান গালে হাত বোলালে এখনও পেরেকের দাগ।

পেরেকের দাগ!

ইয়েস, পেরেকের দাগ, জুতোর কাটা পেরেক।

নিজের কেরামতি বুঝি? নিজের গালটাকেই স্যান্ডেল ভেবে ঠোকাঠুকি করেছিলেন?

অফকোর্স নট। আই অ্যাম নট দ্যাট ফুল। জনৈকা মাজা সুন্দরী গালে পাদুকাঘাত করেছিলেন।

মানে জুতো মেরেছিলেন?

ইয়েস জুতো।

কে সেই জুতো মারা সুন্দরী, ইওর ওয়াইফ?

প্রোভোকড অর আনপ্রোভোকড? টিজ করেছিলেন? তখন কি আপনি কলেজে পড়তেন?

আমার এখনকার বয়েস দেখলে তাই মনে হয় কি! এই ধরনের বোকা-বোকা কথাও ভয়ঙ্কর ক্লেশের কারণ। এ বোকা শুড রিমেন সাইলেন্ট।

আমি বোকা?

আপনি ইডিয়ট।

আপনি ক্রিস্টালাইজড ইডিয়েট। চরিত্রহীন লম্পট।

লম্পট?

ইয়েস লিচেরাস, ট্রেচারাস, তা না হলে একজন অপরিচিতা মহিলা পৃথিবীতে এত লোক থাকতে আপনাকে হঠাৎ জুতো মারতে যাবে কেন। নিজের স্ত্রী হলে কিছু বলার ছিল না, যে হাত সোহাগ করে, যে হাত পেঁপে, কাঁচকলা দিয়ে মাছের ঝোল রাঁধে, সে হাত জুতোও মারতে পারে, মারার অধিকার আছে, বাট…।

বাট! ইও আর এ ঘৃণ্য স্ত্রৈণ। চটিলেহী নিন-কম-পুপ স্বামী।

হ্যাঁ তাই, তাতেও গৌরব আছে। আপনার মতো পরনারীর পশ্চাদ্ধাবন করে গালে জুতো ইনভাইট করতে চাই না। আই হেট দ্যাট। জুতো মারনেওয়ালা যখন বাড়িতেই আছেন, তখন হোয়াই শুড আই হ্যাংলার মতো গো টু আদারস?

সভাপতি ট্যাপ ট্যাপ করে টেবিলের ওপর বারকয়েক নস্যির ডিবে ঠুকে শব্দ করলেন, অর্ডার অর্ডার। এটা কি হচ্ছে? এভাবে চললে মনুষ্যক্লেশ নিবারণের ক্ষমতা কারুর বাবার সাধ্যে হবে না। ঠাকুরই বলে গেছেন, জগৎ হল একটা আস্ত পেঁয়াজ। খোসা ছাড়িয়েই যাও, শেষে কিস্যু পাবে na। এ দুনিয়া ধোঁকার টাটি!

হু ইজ দ্যাট ঠাকুর? দারুণ বলেছেন।

হে-হে বাবা। ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস। যাক আসল ইসুটাই গুলিয়ে গেল। নো মোর উত্তেজনা। তবে জানা দরকার সম্পাদক কেন জুতো খেয়েছিলেন তিন বছর আগে। মধ্যবয়েসে জুতো, আনইউজুয়াল ব্যাপার। ছাত্রজীবনে হলে কেটা অন্যরকম হতো। জাস্টিফায়েবল ভাইস। হি মাস্ট বি অ্যালাউড টু ডিফেন্ড হিজ ক্যারেকটার। তিনি যে ক্লেশ পেয়েছিলেন, তা কারণে না অকারণে? অকারণে হলে আমাদের প্রসিডিংস-এ নোট করা হবে। গো অন, কনটিনিউ ইন সেলফ ডিফেনস।

হাতিবাগান।

ইয়েস হাতিবাগান।

সময় সন্ধ্যা।

কাল? মিনস ঋতু?

বসন্ত।

আই সি, আই সি।

আই সি, আই সি করে লাফাবার কিছু নেই। কলকাতায় তেমন উতলা বসন্ত আসে না, মানুষ তেমন কাককু নয় যে বসন্ত এলেই খাঁচায় বন্দী থেকেও কুহুকুহু করে উঠবে, তেমন ফ্যারিয়া নয় যে বায়োলজিক্যাল ইমপালসে ভাদ্র হলেই কেউকেউ করবে।

কি বলে রে! মানুষের সারা বছরই তো ভাদ্র।

ইয়েস সারা বছরই ভাদ্র, দ্যাটস টু তবে বসন্ত শুনে আই সি, আই সি করার কি আছে? আমি কি মোগল সম্রাট, না বৃন্দাবনের কেষ্টঠাকুর! আই স্টে নিয়ার হাতিবাগান।

বেশ তো, হাতিবাগানে স্টে করেন বলে সাত খুন মাপ না কি! জানেন দ্যাট ইজ এ বাজার এলাকা। কত নিরীহ মহিলা সেখানে বাজার করতে যান, অ্যান্ড এ ডেনজারাস ক্যারেকটার লাইক ইউ…।

সভাপতি বাধা দিলেন, ব্যাপারটা আবার ঝগড়ার দিকে চলে যাচ্ছে কিন্তু। সম্পাদক ইউ গো অন।

আমি তো যাচ্ছিলুমই।

অ্যান্ড আই ওয়াজ ফলোইং।

আঃ! আবার বাধা।

আচ্ছা চলুন, চলুন।

বাস থেকে নেমে আমি হনহন করে হাঁটছি, ভিড় বাঁচিয়ে-বাঁচিয়ে।

হনহন করে কেন? নর্মাল স্পিডে নয় কেন?

প্রকৃতির ডাকে!

আই সি, শুনলেন সবাই? নিজেই বললেন, প্রকৃতির ডাকে।

ধ্যার মশাই, আচ্ছা বুন্ধু তো! এ প্রকৃতি সে প্রকৃতি নয়। নেচার-নেচার, নেচারস কল। দেশি শব্দটা সভায় বলা যায়!

আই সি।

হ্যাঁ, আই সি, সারাজীবন দেখেই যান, কিছু বুঝে আর দরকার নেই।

আচ্ছা-আচ্ছা তারপর কি হল বলে যান।

হনহন করে হাঁটছি। বড়-বড় পা ফেলে। হঠাৎ কি হল আমার ডানপায়ের ডগাটা সেই মহিলার চটির পেছন দিকটা কুটুস করে চেপে ধরল।

কুট্টুস করে তো কামড়ায় শুনেছি, চেপেও ধরে নাকি! অক্লেশে যততত্র যা তা বিশেষণের প্রয়োগ।

এই লোকটি বড় ইনটারাপশান করেন।

ঠিক বলেছেন! বিরোধী দলের এম এল এ হবার যাবতীয় গুণ এর মধ্যে বর্তমান।

অথবা স্ত্রীজাতির। বুঝলেন, হয় এম এল এ না হয় স্ত্রীলোক দুটোর যে-কোনও একটা হওয়ার চেষ্টা করুন।

চটিতে পা পড়তেই তিনি সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাওয়ার মতো হলেন, কিন্তু পড়লেন না। যদি পড়ে যেতেন তাহলে আমাকে হাত ধরে তুলতে হতো এবং যদি তুলতে হতো তাহলে আমাকে দুহাত ধরেই তুলতে হতো। একহাতে আমি তুলতে পারতুম না কারণ তিনি ছিলেন বেশ ওজনদার টাটকা মহিলা। তাহলে আমি দুহাতেই তুলতুম এবং জনসাধারণ দেখতেন। বলা যায় না হয়তো কোনও চেনা লোক দেখতেন এবং বাড়ি গিয়ে আমার স্ত্রীর কাছে রিপোর্টিং করতেন। তারপর কি হতো, ভাবলে এখনও গায়ে কাঁটা দেয়।

সভাপতি মহাশয়!

বলুন।

এই মনুষ্যটির কথায় একটি জিনিস অতি প্রকট। সেটি হল উদ্বেগ, সেই উদ্বেগের উৎস স্ত্রীজাতি। একটি স্ত্রীলোক পথে যাঁর চটির পেছন দিকটা উনি ডানপায়ে চেপে দাঁড়িয়ে আছেন, দ্বিতীয় স্ত্রীলোক গৃহে যিনি এই মনুষ্যটির গতিবিধির ওপর সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন। এখন প্রশ্ন হল, বেসিক প্রশ্ন স্বামীরা কি স্ত্রীর কেনা গোলাম? আমরা কি জরুকা গরু?”

একটু ব্যাকরণগত ভুল হল বোধহয়। বলুন আমরা কি জরুকা বুল।

নো-নো, বুল বললে অসহায় অবস্থাটা তদ্রুপ প্রস্ফুটিত হয় না। বুল অনেক বেপরোয়া, অনেক স্বাধীন ও নিঃশঙ্ক। ইংরেজিতেই বলি, বাংলায় বললে অশ্লীলতার দায়ে পড়ে যাব। এ বুল ক্যান চেজ এনি কাউ। বরং বলুন জরুকা বলদ। খাটাসীনা স্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে ভক্ত স্বামী গাইছেন– মা আমায় ঘুরাবি কত চোখ বাঁধা শ্বশুরের বলদের মতো।

শ্বশুরের বলদ আবার এল কোথা হতে? গানে আছে কলুর বলদের মতো।

ওই তো ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়া না করার ফল। বাংলা পাঠশালা কি টোলে পড়লে ওই রামপ্রসাদ পর্যন্তই যাওয়া যায়। ইংলিশ ফোক ব্যালাডে ব্যাঞ্জো বাজিয়ে মেয়ে গান গাইছে, মাই ফাদার উইল পারচেজ এ বুল ফর মি লালা টালালা।

আই সি, আই সি।

আবার দেখার মতো কি হল আপনার, বেশ তো চুপচাপ ছিলেন এতক্ষণ।

এতক্ষণে অরিন্দম কহিল বিষাদে, এ ফিউ ডেজ ব্যাক, টেরিফিক দাম্পত্য কলহের সময় আমার স্ত্রী বললেন, বাবা পয়সা খরচ করে একটা ষাঁড় কিনে এনেছেন।

সেকি?

ইয়েস, শি সেড দ্যাট।

বব না লম্বা?

তার মানে?

স্ত্রীর ডেসক্রিপসান, কি জাতীয় স্ত্রী, ববকরা চুল না বড়লোকের বিটি গো লম্বা লম্বা চুল?

বব, না লম্বা, বেঁড়ে, রেগে-রেগে সব চুল উঠিয়ে ফেলেছে, এক সময় অবশ্য এই চুলের ঢল ছিল।

হাই না ফ্ল্যাট?

তার মানে?

হাই হিল না ফ্ল্যাট হিল জুতো?

ও আই সি। এক সময় হাই ছিল, তাতে আমার চেয়ে দু ইঞ্চি হাইট বেড়ে গেল। দুজনে একসঙ্গে বেড়াতে বেরোলে রকের ছেলেরা টন্ট করত, এ ল্যাম্ব, এ ল্যাম্ব। স্ত্রীর ভেড়া হয়ে বাঁচতে চাই না। আমিও হাইট বাড়িয়ে নিলুম, এক ইঞ্চি ওপরে উঠে গেলুম। সঙ্গে-সঙ্গে স্ত্রী আরও হাফ বেড়ে গেলেন। কে হারে, কে জেতে। ভগবান আছেন মশাই। গীতায় বলেছেন, স্ত্রীজাতির অহঙ্কার

মনুষ্যক্লেশ নিবারণী সমিতি

খর্ব করার জন্যে পুরুষ জাতির সম্ভ্রম রক্ষার্থে সম্ভবামি যুগে যুগে।

এটা আবার গীতায় পেলেন কোথায়?

কতরকম গীতা আছে জানেন কিছু? এই আশার বাণী আছে স্বামী গীতায়। মনে রাখবেন অর্জুন শুধু যোদ্ধা ছিলেন না, সংসারীও ছিলেন, নট ওয়ান ওয়াইফ সেভারেল ওয়াইভস। ন্যাগিং ওয়াইভাস। এক দ্রৌপদীকে সামলাতেই পাঁচ-পাঁচটা স্বামীর হাতে হ্যারিকেন।

সে তো যুধিষ্ঠিরের জন্য। বেচারা আফিং খেয়ে দাবায় বসলেন অ্যান্ড লস্ট হিজ লিমিটেড ওয়াইফ।

যুধিষ্ঠির আফিং খেতেন, হু টোলড ইউ? স্ল্যান্ডার অ্যাগেনস্ট শাস্ত্রস।।

ধীরে যামিনী ধীরে। দুই আর দুইয়ে চার। অত প্রবলেম তবু যুধিষ্ঠির দাবায় বসলেন, কেন বসলেন? ফ্রাসট্রেশান, কেন ফ্রানট্রেশান পেটের গোলমাল, অ্যামিবায়োসিস।

এ তথ্য আবার কোথায় পেলেন?

অ্যাজামপসান। তখন ফিলটারড ওয়াটার, ক্লোরিন এসব ছিল না। পুকুর পানি, সেই পানিতে শত-শত অদৃশ্য প্রাণী অ্যান্ড ক্রনিক আমাশা, ন্যাচারালি দুর্বল, দুর্বল বলেই ধার্মিক, সত্যবাদী। পেটের ব্যামোর সবচেয়ে প্রাচীন ওষুধ আফিং, আফিং মানেই ইমপোটেনসি, অ্যান্ড দ্যাটস হোয়াই দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ। কৃষ্ণের আবির্ভাব, ভীমের গদাযুদ্ধ, অর্জুনের বিষাদযোগ।

সভাপতি সহসা উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, সভা আজকের মতো এখানেই পণ্ড হল।

Pages: 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress