ছেলেটার কোনো গোলাপ দিন নেই
নেই চকলেট দিন
সারাদিন এ রাস্তা ও রাস্তা ঘুরে
সে বিক্রি করে লাল নীল সবুজ হরেক মাল
পা দুটো তার ক্লান্ত হয়ে যায় মনের মতোই
মেয়েটার কোনো টেডি দিন নেই
নেই বিশেষ প্রমিসের দিন
ওদের ভ্যালেনটাইন ডে নেই
বাবুদের বাড়িতে এঁটো বাসন মেজে
বেলা শেষে বাড়ি এলে
হাঁড়িতে চাপিয়ে দেয় কয়েক মুঠো জীবন
বাড়ির বৃদ্ধ বৃদ্ধারা হাঁ করে থাকে
শালিকের বাচ্চার মতো
সবাই কে খেতে দেওয়া শেষ হলে
শেষেরটুকু একটা থালায় বেড়ে নিয়ে বসে পড়ে
ছেলেটা আর মেয়েটা মুখোমুখি
মেয়েটা দু এক গ্রাস খেয়েই বলে-
তুমি খেয়ে নাও
আজ খিদে নেই তেমন…
এ অমৃত পান শেষ হলে
সন্ধ্যা নামে ওদের কুঁড়েঘরে
সন্ধ্যে প্রদীপের আলো
ওদের ভাঙাচোরা স্বপ্ন গুলোকে মেরামত করতে বসে
রাতে ভাঙা জানলা দিয়ে
চিনির মতো হাওয়া আসে
ওরা দুজনে পাশাপাপাশি শুয়ে
তারা দেখে এক সাথে
একে অপরের দিকে তাকিয়ে
মিটি মিটি হাসে
কুঁড়ে ঘরের দুটি তারা
মেয়েটার জ্বর এলে
সারারাত মাথার কাছে বসে থাকে ছেলেটা
জলপট্টি দিতে দিতে
গুনগুন করে গায়-
“ও আমার চাঁদের আলো…
জড়ায় তোমার হাসির জালে”