মংলু মামা
শ্রীপুর গ্রামে পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে খরস্রোতা অঞ্জনা নদী। এপারে শ্রীপুর অপর পারে বনস্থলী। নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা মংলুর নৌকা, সাতপুরুষের ব্যবসা। কাকভোর থেকে রাত বারটা, ঘাটের পাশেই বাবুদের জমিতে সুন্দর এক কুড়েঁ ঘরে তার সংসার। রূপমতী পাঁচবাড়ি কাজ করে যে উপার্জন করে সেটা ছেলের লেখাপড়ায় খরচ হয়।
এক প্রচন্ড শীতের কুয়াশা ঢাকা ভোরে শিশুর কান্না শুনে নৌকার দিকে গিয়ে দ্যাখে, তোয়ালে মোড়া কন্যাশিশু।
রূপমতীকে ডেকে শিশুর দ্বায়ীত্ব তুলে দিল মংলু। দিন কয়েক পর বাবুদের মেজমেয়ে রূপমতীকে সব বলে মেয়েটিকে বুকের দুধ দিয়ে যেত। আজ সে ছ’মাসের ভাত খাবে মংলু মামার হাতে। পৃথিবীর সব সুখ আজ তার ঘরে।