কবিতার ছলে লিখলাম এক জীবনী
কবিতা হলেও এটা সত্য কাহিনী।।
মাতৃগর্ভ ছিল যখন আমার বাসস্থান
দুঃখ কষ্ট ভাবনা চিন্তা ছিলনা একটুক্ষণ
খেলাধুলা খাওয়াদাওয়ার অভাব ছিলনা।।
খেলতে গিয়ে লাগতো যখন মায়ের পেটে লাথি
মা বলতো খেলছে বাছা লাগবে আমার কি
বাবা বলতো হেসে হেসে দুষ্টু হবে খুবই।।
সেইসব দিন শেষ হলো এলো নতুন দিন
মাতৃগর্ভে হলো যখন দশ মাস দশদিন।।
পৃথিবীতে পড়লো যেদিন আমার দুটি পা
সবার মুখে হাসি এলো আমার এলো না।
সেদিন থেকে শুরু হলো পাপ পুণ্যের খেলা
ভগবানের বিচার শুরু আমি বুঝি না।।
ছোটো থেকে যতোই আমি বড়ো হতে থাকি
বাবা মায়ের ভালোবাসা কমতে থাকে দেখি
ঠাকুমায়ের ভালোবাসা বাঁচার আশা জাগায়
ভাগ্য দোষে ঠাকুমাও একদিন বিদায় নেই।
সে দিন থেকেই এ অভাগা ভালোবাসার ভিখারী
নেই কো জামা নেই কো খাবার নেই কো টাকাকড়ি।
এমনি করে বড়ো হয়ে হলাম যেদিন বেকার
তখন থেকেই পেতে লাগলাম অপমান ধিক্কার
বাবা মায়ের কাছে আমার এটাই বড়ো খাবার।।
মাঠে ঘাটে চাষ করি আর পড়াশোনা করি
তবু বাবার মনভরে না ছেলে আকম্মা ঢেঁকি।।
বহু কষ্টে পড়ে যখন আমি পাশ করি বি এ
বাবার তখন মনে আসে ছেলের দেবে বিয়ে ।।
বেকার হয়ে বাবার কথায় বিয়ে করলাম আমি
বিয়ের পরেই বেরিয়ে পরে তাদের স্বরূপ খানি
আরও পরে আলো করে এলো তাদের নাতি
মুখে তাদের নেইকো হাসি যেন আমি আসামী।।
অবশেষে তাদের অত্যাচারে ছাড়তে হলো বাড়ি
গ্রাম থেকে অনেক দূরে দোকান একটা করি।।
এই অভাগার জীবন কথা আরও অনেক বাকি
বেশ কয়েক বছর পরের কথা জানাতে আমি চাই
বাবা মায়ের গুনে আমার স্ত্রীয়ের জীবন সংশয়।।
এই ভাবে দিন কাটে মাস কাটে বছর চলে যায়
এরই মধ্যে বাবা আমার পরলোকে যায়
সেদিন থেকে মা আমার শুরু করলেন তার খেলা।।
একদিন আমি মায়ের জন্যই ছেড়েছিলাম বাড়ি
আজ ঐ মায়ের জন্য আবার দেশ ছাড়লাম আমি
একটি মাত্র ছেলে আমার মোদের নয়নমণি
তার জন্যেই বেঁচে আছে এ অভাগার জীবন খানি
তার কাছে এসে আমি পেলাম বাঁচার আশা
এখন ও আর ছেলে নয় ঐ আমার বাবা
সেই আমাকে দিয়েছে বাবার ভালোবাসা।।
তিনজনের সংসার মোদের আর আছে গোপু
গোপুর কৃপাই দিন চলে যায় অভাব নাই কিছু
গোপু হলো লাড্ডু গোপাল ঐ আমাদের সব
ওর জন্যই জয় করেছি সকল দুঃক্ষ কষ্ট ভয়।।
আমার ভাগ্যে আরকি আছে আমি জানি না
গোপুই আমার জীবনমরন ও ছাড়া কিছু না।।
হে ভগবান তোমার কাছে একটাই প্রার্থনা
মৃত্যু শয্যায় পাই যেনো তোমার রাঙা চরণ খানা।।