নীরার হাত-চিঠি এল পড়ন্ত বিকেলবেলায়
আমি তখন হিজিবিজি জট পাকানো সুতোর মধ্যে আছি
তার মধ্যে একটি সদ্যস্নাত জুঁইফুল
ড়ুবন্ত মানুষ যেমন নিশ্বাসের জন্য আকুপাকু করে ওঠে
আমিও সূর্যকে বললুম, আজ একটু দেরি করো
নীরা আমায় ডেকেছে, দিগন্তরেখা, আবছা হয়ে যেও না
জানলায় এত ঝনঝন শব্দ কীসের, ছিটকিনি, শান্ত হও
বইয়ের খোলা পৃষ্ঠা, প্রতীক্ষায় থাকো
আঙুলে কালির দাগ, লক্ষ্মীটি, অদৃশ্য হও
জুঁইফুলটি চেয়ে আছে, সদ্য-জন্মানো ঝর্নার মতন হাসছে
একটি ঝর্নার পাশেই বারবার নীরাকে আমার প্রথম দেখা
মেঘভাঙা দ্যুতি এসে পড়েছে তার চিবুকের রেখায়
নতুন বসন্ত-বৃক্ষের পাতার মতন তার চোখের আলো
তার বুকে দুলে দুলে উঠছে কৈশোরের সমুদ্র-স্নান
নীরার ডাক এসেছে, মেঘ, নিরুদ্দেশে যাও
দরজায় আর কে এসে দাঁড়াল, আমি কোথাও নেই
শব্দ, তুমি থামো, বাক, তুমি নিশ্চুপ হও
সমস্ত সুতোর পাক লণ্ডভণ্ড করে আমায় উঠে দাঁড়াতে হবে
আমাকে যেতে হবে, আমাকে যেতে হবে…