অনন্ত আকাশের বুকে একটাই সূর্য,
আর ঝিকিমিকি তারায় ভরা রাতের আকাশে একটাই চাঁদ, সে তুমি পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকে যে ভাবেই দেখো না কেন?
প্রতেক মানুষের বুকের ধুকপুকে একটাই হৃদয়,
সে তুমি যেমন করেই ভাবো। কিন্তু মন? কোথায় মনের বাস? মনখারাপ কেন হয়? মন তবে কি? উত্তর নেই কোন!
তোমার কাছে আমি মন চেয়েছিলাম, জানি তুমি কতোজনকেই তো ভালোবাসো!
তুমি বললে মনটা কোথাও রেখে এসেছি রে। এই মন অন্য কারোর জন্য। বললাম অপেক্ষা করবো, প্রতীক্ষায় থাকবো।
তুমি বললে ভালোবাসি তো! বললাম, মনটাই সবচেয়ে দামী,শুধুমাত্র তোমার মনটাই আমার চাই। তুমি বললে সময়।
সময় সব ঠিক করে দেবে।
বেশ তো! দীর্ঘ প্রতীক্ষায় থাকবো।
তারপর,কতো রজনী,কতো শতাব্দী পেরিয়ে গেলো।কোনো এক বৃষ্টি ভেজা শ্রাবণ সন্ধ্যায়, তুমি বললে, জানিস তো, আমার মন অনেক ভাগে ভাগ হয়ে গেছে, নিজের মন কে নিজেই চিনতে পারলাম না আজও ঠিক করে,
তাই মন টাকে আর জোড়া লাগাতেও পারলাম না। আমি অবাক চোখে তোমার পানে চেয়ে রইলাম কিছুই বলতে পারলাম না। তুমি কিছু হয়তো অনুমান করলে চোখের ভাষায় বললে, কিরে তোর চোখ ছলছল কেন? বোকা মেয়ে! ভালো থাক।
সত্যি নিঃস্বার্থ ভালোবাসলে মানুষ এমনই বোধহয় বোকা হয়ে যায়! শর্তরা যেখানে শর্তহীন, দাবি যেখানে দাবিহীন। তুমি তা বুঝেও বুঝলে না।
এরপর, অনেক বছর, অনেকগুলো শতাব্দী পেরিয়ে গেলো।
কোন এক শিউলি ঝরা শরতের ভোরে তুমি এসে বললে, প্রচন্ড এক ঘূর্ণিঝড়ে মনের টুকরো গুলো উপড়ে পড়ে ধুয়ে মুছে গেছে। আজ ভাঙ্গা মন নিয়ে তোর কাছে এলাম…….!
সময়ের সাথে, তখন আমি ভোরের শিউলির মতো মাটিতে ঝরে গেছি! শুধুই ছবি হয়ে তাকিয়ে আছি তোমারই মুখপানে।।