অতঃপর তোমার বয়ে চলা পাহাড়ি প্রেমে
বর্ণরা আমাকে ঘিরে ঘুরতে থাকে,
স্পর্শ করতে চায় আমার অনুভূতিকে।
তোমার অন্তরের প্রতিটি কামুকি আহ্বান
পোশাকি সভ্যতা ছেড়ে হারিয়ে যেতে চায় অদম্য উদ্দীপনায়।
তোমার প্রশ্বাসের উষ্ণ নিঃশ্বাস আর টোলপড়া অধর হাতছানি দেয় আমাকে, প্রেমের অনবরত ক্ষরণে
ভুলতে থাকি আমি নিজেকে প্রতিমুহূর্তে।
আমি ছবি আঁকতে পারি না,
কিছুতেই পারি না সাদা ক্যানভাস রংধনুর রঙে রাঙিয়ে,
মনখারাপের অবেলা কাটিয়ে প্রেমিকার বুকে আছড়ে পড়তে, কোনো এক নির্জনতায়।
বিন্দু বিন্দু সূর্যের আলো যা জমা ছিল তোমার নাভিতে,
সেও অনাহুত এক ক্ষণে চিরচেনা নিষিদ্ধ বলয়ের ঘূর্ণিপাকে আবদ্ধ করে নেয় নিজেকে।
আর আমার বলিষ্ঠ বুকের জঙ্গলে মুখ লুকাচ্ছিল বিপন্ন সময়, আরও কিছুটা আবদার ও আদরের নেশায়।
যেনো নেশাতুর আমি,
যেনো রাতের দগ্ধ উপত্যকা,
যেনো উন্মত্ত রাতের শিশিরের রূপকথা,
ক্রমশ মগ্ন করছিল আমায়,,,
বাড়ুক অন্তরঙ্গতা,
সকল উত্তেজক মন্তব্য আর হাহাকার পেরিয়ে
অবশেষে একপশলা উপলব্ধিও নামুক তোমার মনের গহীন স্রোত হতে।
সাজানো শহর ,
অভ্যস্ত জীবন,
ঠিক আমার এই কবিতার মতো
আমারও তোমার সময় হতে ভীষণ ইচ্ছা হয়।