নতুন পরিচয়
আতাউর রহমান ও তার স্ত্রীর ১৩ বছর আগে কোলজুড়ে এক কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। আদর করে তার নাম রাখেন আতিকা আক্তার লোপা। ছোটবেলা থেকেই শারীরিক গঠন বৃদ্ধি পেয়ে সে একজন কিশোরী হিসেবেই বড় হতে থাকে। সেই আতিকা আক্তার লোপা কিশোরী থেকে পরিবর্তন হয়ে সে এখন একজন কিশোর হিসেবে পরিণত হয়েছে।
আতিকুলের বাবার মৃত্যুর পর তাদের পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ে। জীবিকার তাগিদে লোপার মা একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন এবং একটি স্কুলেও লোপা ভর্তি হয়। ৪র্থ শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় লোপার কণ্ঠ ধীরে ধীরে ছেলেদের মতো রূপ নেয়। এ ঘটনা তার মা জানার পর থেকেই চিন্তিত হয়ে পড়ে। অসহায় নারী এক বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ নেন।
লোপার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর কয়েক সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। প্রথম ধাপের অপারেশন করার পর সে অনেকটা সুস্থ হয়। আরও দুইটি অপারেশন সঠিক সময়ে করলেই সে ছেলে হিসেবে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবে ওই টিম জানায়।অপারেশন সঠিক সময়ে করতে না পারলে তৃতীয় লিঙ্গে পরিণত হতে পারে এও বলা হয়।
আতিকুলের মা অনেক কষ্ট করে টাকা পয়সা সংগ্রহ করে অপারেশন করিয়ে নিয়েছে। এখন মেয়ে থেকে ছেলতে রূপান্তরিত হয়েছে। অপারেশন করার পর সে অনেকটা সুস্থ হয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে এসেছে। আসার পরেই সে মেয়ে থেকে ছেলে হওয়ার খবর পেয়ে প্রতিনিয়ত তার বাড়িতে হাজারও জনতার ভিড় জমে।
আতিকুল বলে,আমি ছোট বেলা থেকেই মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য কান্না করতাম। কিন্তু কেউ আমাকে নামাজ পড়তে নিয়ে যেতো না। আমি সব সময় একা একা ঘরে বসে আল্লাহর কাছে বলতাম আল্লাহর তুমি আমাকে ছেলে বানাও আমি মসজিদে নামাজ পড়তে যাব। আল্লাহর অশেষ রহমতে আজ আমি মেয়ে থেকে ছেলে হয়েছি। আল্লাহ আমার মনের কথা শুনেছে। আজ আমার মনে আসা পূরণ করেছে।আমার পরিচয় এখন আতিকুল ইসলাম।